উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য বিলকিস কাণ্ডে (Bilkis Banoo case) দোষী ১১ ধর্ষককে জেলে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর থেকই আর খোঁজ মিলছে না ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের। গুজরাটের দাহোদ জেলার পাশাপাশি দুই গ্রাম বাড়ি সাজাপ্রাপ্তদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৯ জনই বাড়িতে নেই। কারও বাড়িতে তালা ঝুলছে। কারও বাড়িতে পরিবারের লোকজন থাকলেও তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কয়েকদিন আগেও যারা এলাকায় ছিলেন তারা হঠাৎ করে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর ৩ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে দুস্কৃতীরা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত।
মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২২ সালে বাকি ১১ জন ধর্ষক ও খুনি মুক্তি পায়। ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট বিলকিসকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনে দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল গুজরাত সরকার (Gujrat Governament)। এর পর আদালতের সম্মতিতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। জেলে ওই ১১ অপরাধীর ব্যবহার দেখেই তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সরকার।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের প্রবীণ নেত্রী সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল এবং অধ্যাপক রূপরেখা বর্মা সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ছাড়া পাওয়া ১১ অভিযুক্তকে ফের জেলে ফেরারও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।