হরিশ্চন্দ্রপুর: চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, বন্যার টাকা চুরির পর এবারে শ্মশানের মাটি চুরির অভিযোগ উঠল মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জমিদারদের দান করা শ্মশানের জমি লুটের অভিযোগ উঠেছে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এমনকি শ্মশান থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকার মাটি কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই কাজে জমি মাফিয়াদের তৃণমূল (TMC) নেতারা মদত জুগিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। থানা থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সবকিছু শুনেও প্রশাসন নীরব। অবিলম্বে এই জমি ফেরত না পাওয়া গেলে এলাকায় ভোটের আগেই আন্দোলনের নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harishchandrapur) মহেন্দ্রপুর এলাকায় একটি শ্মশান রয়েছে দীর্ঘ ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই জমিটি এলাকারই জমিদারদের দান করা। ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেকর্ডে এই জমির চরিত্র শ্মশান বলেই উল্লেখ রয়েছে। সম্প্রতি, এলাকার কিছু তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে শাসকদল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা রাতারাতি এই জমির রেকর্ড পরিবর্তন করে নেয়। তারপরেই এই শ্মশানের জমি থেকে ব্যাপক হারে মাটি কাটতে আরম্ভ করে। এদিকে জমি মাফিয়ারা কয়েকদিন ধরে ওই শ্মশান থেকে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকার বেশি মাটি কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে ভূমি সংস্কার দপ্তরকে চিঠিও করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই জমি শ্মশান রক্ষা কমিটিকে ফিরিয়ে না দিলে এবং জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এমনকি সন্দেশখালির মতো গ্রামের মহিলারা প্রয়োজন হলে ঝাঁটা-লাঠি হাতে নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শামিল হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। এবিষয়ে আইএনটিটিইউসির সভাপতি সাহেব দাস জানান, তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।