শেখ পান্না, রতুয়া: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভিটেমাটি হারিয়েছে মালদার (Malda) বলরামপুর (Balrampur) গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবার৷ ছাই হয়ে গিয়েছে ভোটার (Voter Card)-আধার কার্ডও (Aadhar Card)৷ এদিকে, মঙ্গলবার ভোট (Lok Sabha Election 2024)। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কি না ক্ষতিগ্রস্তরা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ যদিও এব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের কোনও হেলদোল এখনও দেখা যায়নি৷ বিধ্বস্ত মানুষগুলোকে ভোটার স্লিপও (Voter Slip) বিলি করতে আসেনি কেউ৷
গত বুধবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের বলরামপুরে ছাই হয়ে গিয়েছিল প্রায় ৬০টি বাড়ি৷ ঘরে থাকা সবকিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধারও৷ সেই খবর পেয়ে গ্রামে এসেছিল প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷ বিধ্বস্ত মানুষগুলোর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রতিটি দলের প্রার্থীরাও৷ নির্বাচনের মরশুমে প্রশাসনও দ্রুততার সঙ্গে গ্রামে পৌঁছে দিয়েছিল সরকারি ত্রাণ৷ কিন্তু তারপর আর কিছুই হয়নি৷ এখনও গোটা গ্রামে পোড়া গন্ধ৷ ছাই সরিয়ে সবাই খুঁজে দেখছেন ভিতরে কোনও কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে কি না৷
এই পাড়ার বাসিন্দারা সবাই ভাঙন উদ্বাস্তু৷ ২০১৩ সালে থাকতেন জঞ্জালিটোলায়৷ গঙ্গার ভাঙনে গ্রাম নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২০০টি পরিবার বলরামপুর বাঁধের নীচে আস্তানা গড়ে। অস্থায়ী ঘর তৈরি করে শুরু হয় বসবাস৷ সেই সময় সরকার এই মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্য আজও পূরণ হয়নি৷ এবার আগুনে সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা সবাই৷
এ নিয়ে ব্লক নির্বাচন আধিকারিক তথা বিডিও রাকেশ টোপ্পোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি৷ যদিও নির্বাচন দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মী জানিয়েছেন, কোনও সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকলে সাধারণত কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না৷ এক্ষেত্রে কী হবে, তা কমিশনই স্পষ্ট করবে৷