মালদা: আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ইন্ডিয়া জোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর নরম হতে দেখা গেল মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদার সাংসদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কথায় কথায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণকারী কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে ঘেঁসছে। অন্তত সেই ইঙ্গিতটাই মিলল রাহল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার বর্ষপূর্তির মিছিলে।
মালদা জেলার অন্যতম বড় সমস্যা ভাঙনের। প্রতি বছর বর্ষার মরশুম আসতেই আতঙ্কে ঘুম উড়ে যায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। প্রতি বছর একটাই সুর ওঠে, ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভও কম নয় ভাঙন কবলিতদের। অভিযোগ, প্রতি বছর ভাঙন শুরু হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সেচ দপ্তর। অত্যন্ত নিম্নমানের ভাঙন রোধের কাজ করা হয়। বছরের পর বছর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে আসছে কংগ্রেসও। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অবস্থান যেন খানিকটা আলাদা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে বিরোধীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। রাজ্যে লড়াই চললেও রাজধানীর আঙিনায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে টিভির পর্দায় এক সঙ্গে দেখছে রাজ্যবাসী। জেলার ভাঙন সমস্যা নিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদার সাংসদের গলায় শুধুই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। রাজ্য সরকারের ভাঙন সমস্যা নিয়ে কিছুই করার নেই বলে সাফ জানাচ্ছেন কংগ্রেসি সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ মালদার সাংসদ বলেন, ‘মালদার বড় সমস্যা ভাঙন। কংগ্রেসের আমলে ভাঙন নিয়ে যে সমস্ত আইন করা হয়েছিল তা বদলানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভাঙন নিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আমাদের কথায় গুরুত্ব না দেওয়া হলে মালদা জেলার অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু এখনও সেই চিঠির জবাব আমরা পাইনি। আশা করছি দ্রুত সেই চিঠির জবাব পাব। আমরা ক্ষমতায় এলেই আগে যেভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করছিলাম, সেভাবে কাজ শুরু হবে। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আমি নিজে ৪০ কোটি টাকা এনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভাঙন রোধের কাজ করিয়েছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। রাজ্য সরকারের ভাঙন রোধ করার মতো ক্ষমতা কিংবা টাকা কিছুই নেই।’