উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার দুপুরেই অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রাম লালার বিগ্রহের। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। পাশাপাশি কলকাতায় চলছে তৃণমূলের সংহতি মিছিলের প্রস্তুতি। এদিনই বিকেলে কলকাতার রাজপথে হাঁটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একই ভাবে জেলায় জেলায় ও ব্লকে ব্লকে শাসক দলের সংহতি মিছিল হবে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর।
বেশ কয়েকমাস ধরেই তৃণমূল বিভক্ত নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে। বিভিন্ন সময়ই এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে ভিন্নমত শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার সঙ্গে অভিষেকের। ফলে দলের অন্দরেই এই বিভেদ বড় আকার ধারণ করে। সম্প্রতি কালীঘাটে (Kalighat) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক সহ দলের বহু নবীন প্রবীণ নেতৃত্ব। সেখানেই নবীন প্রবীণের বিভেদ কিছুটা হলেও মিটে যায় বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের পর বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংহতি মিছিলে পা বাড়াবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে সেই মিছিলে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জায় যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হাজরা পার্ক থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত যাবে সংহতি মিছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই মিছিলের পরিষ্কার তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। এক, বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে জনমানসে আওয়াজ তোলা। দুই, নবীন-প্রবীণ নিয়ে দলের অন্দরে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে মমতা-অভিষেকের একসঙ্গে মিছিলে হাঁটা। তিন, লোকসভার আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের আরও বেশি মাত্রায় উজ্জীবিত করা।
প্রসঙ্গত, পুজোর পর থেকে গত তিন মাস ধরে সেভাবে রাজ্যে কোনও বড় কর্মসূচি নিতে পারেনি তৃণমূল। বাংলার বকেয়া পাওনার দাবিতে অভিষেক যে ধর্না শুরু করেছিলেন, তা পুজোর মধ্যেও চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তাতে আপত্তি করেছিলেন মমতা। সেই থেকেই শুরু হয় তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর ঠান্ডা লড়াই। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর তত্ত্বাবধানে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু সভা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দলের অনেক প্রবীণ স্বীকার করছেন, সে সবের কোনও প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে পড়েনি। সেদিক থেকে সোমবারের মিছিল পুনরায় অর্থবহ হয়ে উঠতে চলেছে বলে অনেকের মত। কালীঘাটের ঘনিষ্ঠ এক নেতার মতে, এর অর্থ হল শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে সুষ্ঠু বোঝাপড়া হয়েছে। তার ফলে কী হবে তা আগামী দিনে হয়তো স্পষ্ট হবে।