উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছোট ছোট চা বাগানগুলি থেকে চা কিনছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাগান মালিকদের। সেই সব চাবাগান মালিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ডুয়ার্সে এমনই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বাংলার পাট শিল্পকে বাঁচাতেও উদ্যোগ নেবে রাজ্য।
রবিবার উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় বিধ্বংসী ঝড়ের পরস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাতেই বিশেষ বিমানে জলপাইগুড়ি আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আগামী ৪ এপ্রিল মমতার নির্বাচনি কর্মসূচি রয়েছে কোচবিহারে। কিন্তু তিন দিন আগেই ঝড়ের পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে চলে আসায় আর ফিরে যাননি তিনি। কোচবিহারের সভা করেই কলকাতা ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। এদিন তিনি চালসায় বৈঠক করেছেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপার সঙ্গে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে জানান, তরাই ডুয়ার্সের ছোট চাবাগানগুলি থেকে পাতা কিনছে না কেন্দ্র। ফলে বিপাকে পড়েছেন ছোট চাবাগানের মালিকরা। তাঁদের রুজি রোজগারে টান পড়েছে। যেহেতু বর্তমানে নির্বাচন বিধি লাগু হয়েছে তাই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু করতে পারছে না রাজ্য সরকার। নির্বাচন পেরিয়ে গেলে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। ছোট চা বাগানের মালিকরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেই বিষয়ে বিকল্প কিছু করা যায় কী না তা গুরুত্ব সহকারে ভাববে রাজ্য।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলার চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনছে না কেন্দ্র। কোনও ভাবেই বাংলার পাট শিল্পকে ধ্বংস হতে দেব না। বাংলার পাট উন্নতমানের। এই শিল্পকে বাঁচাতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার। রবিবার বিকেলের ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঝড়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার বাড়ি। নষ্ট হয়েছে প্রচুর জমির ফসল। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পান সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’