উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩১ জন বিরোধী সাংসদকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা যায়, সংসদকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখান এই বিরোধীরা। আর এই ৩১ জন বিরোধীর মধ্যে রয়েছেন একাধিক তৃণমূল সাংসদও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর কথায়, ‘যা ঘটছে তা কাঙ্খিত নয়। আমি ভাগ্যবান, আমি এখন সাংসদ নই।’
এদিন নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট, পরে ৩টা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তারপরও পরিস্থিতি তপ্ত থাকায় অধীর সহ ৩১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। ততদিন এই সাংসদরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও অমিত শার বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখানোয় ১৫ জন বিরোধী সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।