রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফের জেলা সফরে। রবিবার কোচবিহার থেকে তাঁর পাঁচদিনের জেলা সফর শুরু হচ্ছে। এই সফরে সরকারিভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির উল্লেখ নেই। প্রতিটি জেলাতেই তিনি সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ১ ফেব্রুয়ারি নদিয়ায় প্রশাসনিক সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা। লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে সম্ভবত এটাই মুখ্যমন্ত্রীর শেষ জেলা সফর বলে প্রশাসনিক মহল মনে করছে।
ডিসেম্বর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানগুলি থেকে জেলার মানুষকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধনও করেছিলেন। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং দুই দিনাজপুর ও মালদা এই চার জেলায় পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান বকেয়া ছিল। সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর। তবে, এই সফরে নতুন সংযোজন ফুলবাড়ির ভিডিওকনের জমিতে প্রশাসনিক সভা। এই সভাতেও জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের চা বাগান শ্রমিকদের জমির পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্পের সহায়তা দেবেন। এই কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যেই এই ময়দানে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মমতা বিমানে সরাসরি হাসিমারায় পৌঁছাবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি কোচবিহার যাবেন। কোচবিহারে রাত্রিবাস করে সোমবার বেলা ১২টায় রাসমেলা ময়দানে সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই সভা থেকে তিনি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বেশ কিছু নতুন বাসের উদ্বোধন করার পাশাপাশি জেলার মানুষের হাতে সরকারি সহায়তা তুলে দেবেন। এই অনুষ্ঠান শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে উত্তরকন্যা সংলগ্ন ফুলবাড়ির (Phulbari) ভিডিওকনের মাঠের হেলিপ্যাডে নামবেন। এই হেলিপ্যাডের পাশেই বিশাল এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। বেলা ৩টায় এই অনুষ্ঠান শুরুর কথা। এখানে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন চা বাগানের ১০ হাজার শ্রমিকের হাতে জমির পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেবেন।
সোমবার রাতে উত্তরকন্যার অতিথিনিবাস কন্যাশ্রীতে থেকে পরদিন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রায়গঞ্জে যাবেন। সেখানেও সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান করে হেলিকপ্টারে বালুরঘাট যাবেন। রাতে বালুরঘাটে থেকে পরদিন সেখানে জেলার সরকারি সহায়তা প্রদান কর্মসূচি। সেই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ওই দিনই মালদা যাবেন। মালদার কর্মসূচি শেষে তিনি মঙ্গলবারই মুর্শিদাবাদ যাবেন। সেখানকার কর্মসূচি শেষে মুখ্যমন্ত্রী নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌঁছাবেন। সেখানে রাত্রিবাস করে পরদিন সেখানে সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ১ ফেব্রুয়ারি ওই কর্মসূচি শেষ করে হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরে যাবেন।