কলকাতা: শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে ফাটল ধরিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ দিয়েছেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। রবিবার দুপুরেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের মহানাটক নিয়ে যখন গোটা দেশে তোলপাড় ঠিক তখনই শরদকে ফোন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, অজিতের সঙ্গে রয়েছেন এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩০ জন। তিনি বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ দেওয়ায় বিজেপি-বিরোধী জোটের ভবিষ্যতও বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন অজিত উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পরই মমতা ফোন করেন শরদ পাওয়ারকে। এনসিপি প্রধান বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। খোঁজখবর নেন তিনি। আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ দেশের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। সকলেই আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এনসিপি সুপ্রিমো জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কংগ্রেস এবং উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা করবেন। সোমবার মহারাষ্ট্রে একটি জনসভার ডাক দিয়েছেন তিনি।
শরদ আরও বলেন, ‘আমরা আবার পার্টিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঝাঁপাব। বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি না, তা বিধায়ক এবং পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি প্রফুল প্যাটেল এবং সুনীল তাতকারেকে ভরসা করে দলের সভাপতির মর্যাদা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা সেই ভরসা রাখতে পারেনি। ওঁদের বিরুদ্ধে আমায় কড়া পদক্ষেপ করতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে অজিত পাওয়ার বৈঠক করেন। শরদ পাওয়ার এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানতেন না বলে দাবি। অজিতের বাসভবন দেবগিরিতে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবল। বৈঠকের পরই বিজেপি-একনাথ শিন্ডে জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত।