উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে জনসংযোগে মনোনিবেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। জনতার আরও কাছাকাছি পৌঁছতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুললেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। শুধু মুখ্যমন্ত্রী একাই নন, এই তালিকায় নাম লেখালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে প্রথম হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন মমতা-অভিষেকই।
সম্প্রতি হোয়াট্সঅ্যাপে এসেছে নতুন ফিচার। নতুন ফিচার অনুযায়ী যে কেউ এই চ্যানেল খুলতে পারবেন। বেশ কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চ্যানেল খুলেছেন। এখন তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ লক্ষ।অন্যদিকে এই নতুন ফিচার আত্মপ্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয় হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল। এটি মূলত একমুখী ব্রডকাস্টিং চ্যানেল।কিভাবে তৈরি করা যায় এই চ্যানেল? প্রথমত চ্যানেলটি যিনি বা যে তৈরি করবেন, তিনি সহজেই ছবি, ভিডিয়ো, বিভিন্ন বার্তা পাঠাতে পারবেন। চ্যানেলটি ফলো করলেই ওই আপডেটসগুলি সহজেই দেখা যাবে। ডিজিটাল দুনিয়ায় হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ, অক্ষয় কুমার এবং একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন এই তালিকায়।
জনসংযোগের দিকে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা বরাবরই মন দেন। সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন মমতা ও অভিষেকও। তৃণমূল সরকার ইতিমধ্যেই মানুষের মন জয় করতে ‘দিদিকে বলো’, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির মত একাধিক কর্মসূচি এনেছে।মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক এতদিন ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল,ইনস্টাগ্রামে যাবতীয় আপডেট দিতেন।এবার থেকে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলকেও ব্যবহার করবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপ আপডেটস অপশনে একটা ক্লিক করলেই দেখা যাবে এই চ্যানেল।আপডেটসের নীচে ফাইন্ড চ্যানেল অপশনে গেলেই দেখা যাবে বিভিন্ন চ্যানেল। আর সেখানে চ্যানেল পেতে অসুবিধে হলে সার্চ অপশনে গিয়ে খুঁজতে হবে। শুধু খ্যাতনামীরাই নন, বিভিন্ন সংস্থাও তথ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসাবে হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যানেল বেছে নিয়েছে।