নিউজ ব্যুরো: অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ বাইকে চাপিয়ে বাড়ি আনলেন বাবা। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শাহদোলে। কিছুদিন আগে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ। সেদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ছয়মাসের শিশুসন্তানের দেহ ব্যাগে ভরে বাসে করে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে গিয়েছিলেন অসীম দেবশর্মা। শাহদোলেও এবার প্রায় একই ছবি দেখা গেল। দুই রাজ্যের দুই বাবাকে মিলিয়ে দিল তাঁদের অভাব এবং অসহায়তা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট মোতাবেক, মধ্যপ্রদেশের শাহদোলের কোটা গ্রামের বাসিন্দা ওই অসহায় বাবার নাম লক্ষ্মণ। শাহদোল থেকে কোটার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সম্প্রতি তাঁর ১৩ বছরের কন্যা মাধুরী সিকেল সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হয়। মেয়েকে শাহদোলের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মাধুরীর।
মেয়ের দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিলেন লক্ষ্মণ। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি হাসপাতাল থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে না হওয়ায় তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্স দিতে রাজি হননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শববাহী গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাও তাঁর কাছে ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে মেয়ের দেহ মোটরবাইকে ঝুলিয়েই বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিরুপায় লক্ষ্মণ।
লক্ষ্মণের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার আগে তাঁকে মেয়ের দেহ ওভাবে নিয়ে যেতে দেখেন শাহদোলের জেলাশাসক বন্দনা বৈদ্য। এরপর তিনিই একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। অসহায়তার দুই ছবি মিলিয়ে দিয়েছে শাহদোল এবং কালিয়াগঞ্জকে।