উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও স্বাভাবিক হয়নি মনিপুরের পরিস্থিতি। প্রায় দেড় মাস হতে চলল মণিপুরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতির কথা নজরে রেখে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা বেড়েই চলেছে সেরাজ্যে। শনিবার আরও এক দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মণিপুর সরকার। বলা হয়েছে আগামী ১৫ জুন বিকেল ৩টে পর্যন্ত রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই শনিবার আবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হল।
রাজ্যের হাই কোর্ট মেইতেইদের তপসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। এর পরেই কুকি, জো-সহ কয়েকটি তপসিলি জনজাতি সংগঠন তার বিরোধিতায় পথে নামে। আদি বাসিন্দা মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কুকি, জো-সহ কয়েকটি তপসিলি জনজাতি সম্প্রদায়। জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি চরম আকার নেয়। এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রাজের বিভিন্ন জনজাতি এলাকায়। এই হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে শতাধিক লোকের। আহত হয়েছেন ৩০০-র বেশি মানুষ। বহু মানুষ হিংসার কারণে ঘরছাড়া। সরকারি হিসাবে সংখ্যাটা ৫০৬৯৮। ঘরছাড়া মণিপুরবাসীদের জন্য সরকার মোট ৩৪৯টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। আর এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মোকাবিলায় মণিপুরে গত ৩ মে থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ১৫ জুন পর্যন্ত।
এদিকে মণিপুরে হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। তারা ১০ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে যার শীর্ষে আছেন এক ডিআইডি র্যাঙ্কের আধিকারিক। রাজ্যপালের নেতৃত্বে মণিপুরে একটি শান্তি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। রাজ্য পুলিশ, সেনা এবং আধাসেনা একত্রে মণিপুরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে।