কলকাতা: বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা। আর এই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলেছে। অশান্তি রুখতে সোমবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া ঘিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজ্যে আসছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি। ভোটপর্ব মিটে যাওয়া পর্যন্ত তিনি থাকবেন রাজ্যে। স্বতঃপ্রণোদিত এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, তারা এই বিষয়ে কিছুই জানে না।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা কমিশনের ডিজি (তদন্ত) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্পর্শকাতর কেন্দ্র চিহ্নিত করবেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। কোথায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দু’সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে। কোথাও কোনও অশান্তি হলে তারা নিজেদের উদ্যোগে রিপোর্ট তৈরি করবে এবং পরবর্তীকালে তা দেখিয়ে রাজ্যের কাছে জবাবদিহিও চাইতে পারে।
এদিকে মানবাধিকার কমিশনের এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, দেশের অন্য কোনও রাজ্যে অশান্তি হলে মানবাধিকার কমিশনের এত তৎপরতা দেখা যায় না। অথচ এ রাজ্যে যখন সরকার ও কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর চেষ্টা করছে, তখন আগ বাড়িয়ে তারা আসছে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপর্ব। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ব্যাপারে প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার ব্যাপারে এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।