উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২ ঘন্টার কর্মসূচি সেরে রাজঘাট থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।
এদিনে অভিষেক নিজের বক্তব্যের শুরুতেই তাঁদের দিল্লি আসার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র করেছে আমাদের কর্মসূচি আটকানোর। ট্রেন বাতিল করেছে। ভেবেছিল, ট্রেন বাতিল করলে কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু, সবাই এসেছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ হয়ে মাথা উঁচু করে সবাই এসেছে। আগামীকাল যন্তর-মন্তরে বড় কর্মসূচি রয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার একটা মূর্খ। বলছে যে রেলের কাছে আবেদন করা হয়নি। তাহলে রেল কেন টাকা নিল? আমাদের যে ইমেল করেছে রেল, তাতে বলা হয়েছে যে শীঘ্রই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ভেবেছিল যে শেষমুহূর্তে ট্রেন বাতিল করে দেব, তাহলে কেউ আসতে পারবেন না। সবাই এসেছেন।’
গান্ধি জন্ম জয়ন্তীতে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। এই বিশেষ দিনে দলের কর্মসূচি নিয়ে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘আমরা রাজঘাটে ১টায় আসি। তাঁকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১.১০ মিনিট থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করি। গান্ধিজি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, সরকারের কেনা সম্পত্তি নয়। গান্ধিজি গোটা দেশের গর্ব। তাঁকে স্মরণ করার সকলের সমান অধিকার আছে। সকলের এই রাজঘাটে এসে বসা, গান্ধিজিকে স্মরণ করা, তাঁর পথকে পাথেয় করে অনুপ্রাণিত হওয়ার অধিকার আছে। আমরাও এসেছি তাঁকে পাথেয় করে আন্দোলন করতে। আমরাও জাতির জনকের পথ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছি।
রাজঘাটে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে অভিষেকের ব্যাখ্যা, ‘শান্তি-সাধনা, কৃচ্ছ সাধনা, জাতির জনকের সংগ্রামের প্রতীক হল রাজঘাট। ২০২১ সাল থেকে ১৫,২০০ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। জোর করে এই টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। এই বকেয়ার দাবিতে আমরা এই রাজঘাট থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করছি।’
পাশাপাশি রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনার উদাহরণ দিয়ে সাংসদ বলেন, ‘বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।এদের পাকা বাড়ি থাকলে এভাবে মৃত্যু হত না। এদের নাম আবাস তালিকায় ছিল। কেন্দ্রের সরকারের জেদের জন্য এদের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে বাড়ির টাকা, রাস্তার টাকা, জলের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’
অন্যদিকে অমিত শায়ের নির্দেশে তৃণমূলের ওপর দিল্লি পুলিশের মনোভাব নিয়ে বলেন, ‘১০ মিনিট অন্তর পুলিশ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ জওয়ানরা এসে মহিলাদের অবস্থান থেকে তোলার চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়।’