রাঙ্গালিবাজনা: এলাকায় কাজ নেই, তাই সিকিমে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের অনেকেই। সিকিম বিপর্যয়ের পর ৯ দিন কেটে গেলেও অনেকেরই খোঁজ মিলছে না। যারা সিকিম গিয়েছিলেন তাঁদের সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। দুর্ঘটনার কয়েকদিন পর ধীরে ধীরে দু-একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও এখনও দক্ষিণ খয়েরবাড়ি, ইসলামাবাদ ও রাঙ্গালিবাজনার কমবেশি ১৫ জনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
যেমন, চুংথাং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎকর্মী ছিলেন রাঙ্গালিবাজনার ঋষিকেশ রায়। ঘটনার রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ। বুধবার সিকিমের মঙ্গনে ওই সংস্থার অফিসে পৌঁছেছেন ঋষিকেশের ভাই চিরঞ্জিত রায়। বৃহস্পতিবার মঙ্গন থেকে চিরঞ্জিত জানান, ঋষিকেশের কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিকে পরিবারের সদস্যের খোঁজ না মেলায় নাওয়া খাওয়া ছেড়েছেন ঋষিকেশের মা ও স্ত্রী।
দক্ষিণ খয়েরবাড়ির ওসমান আলির ২ ছেলে আনারুল হক ও রশিদুল হকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। ওই এলাকার ডোলো কার্জি, খাদেমুল ইসলাম, মহম্মদ লিম্বুদের সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হালিম ও মজাহারুল হকের সঙ্গে তাঁরা লাচেনে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। এদিকে হালিমের দাদা আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার জানান, দিন দু’য়েক আগে সেনাবাহিনীর সাহায্যে ভাই ওর বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছে, তাঁরা আটকে রয়েছে।