উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ‘মাও- যোগ’। অবিলম্বে এএনআই তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি সপ্তাহ থেকেই শুনানির সম্ভাবনা বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করা, এনআইএ তদন্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী।ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতি অনুমতি দিয়েছেন মামলার।বিরোধী দলনেতার আইনজীবী এদিন বলেন, ‘ইউপিএ আইন অনুযায়ী মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তারপরেও কি করে যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিবাম সংগঠন সক্রিয়?’
পাশাপাশি আইনজীবীর আরও দাবি, ‘২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কী না? সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।’
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি যুব মোর্চা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বক্তব্য রাখার সময় কালো পতাকা দেখায় অতি-বাম ছাত্র সংগঠনগুলি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা চত্বরে।শুধু এখানেই থেমে যায়নি সবটা। পরদিন তড়িঘড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে সভামঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যুব মোর্চাকে। আর এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম থেকেই নিজের কড়া অবস্থান রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারই ফলস্বরূপ হাইকোর্টে মামলা দায়ের। আর মামলার অনুমতি পেয়ে যাদবপুর কান্ড নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল বিজেপি।