রায়গঞ্জ: আনন্দমার্গ পদ্ধতিতে বিপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হল রায়গঞ্জে। প্রথাগত বিবাহের বাইরে গিয়ে পুরোহিতের মন্ত্র, পণ ও কণ্যাদান ছাড়াই এই বিবাহ সম্পন্ন হল। বিবাহকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল যথেষ্ট। বুধবার রাতে রায়গঞ্জ থানার রুণিয়া গ্রামের মানুষের সাক্ষী রইল নতুন এই বিবাহ পদ্ধতি। আনন্দমার্গ চর্যাচর্য মতে এই বিবাহ পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক বিবাহ বলা হয়ে থাকে। কলকাতা থেকে আগত আচার্য বিশ্বামিত্রনন্দ অবদূত পাত্রী রুপালি বর্মনের সঙ্গে পাত্র প্রশান্ত সরকারের চার হাত এক করেন। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে এই বিবাহের পৌরহিত্য করেন পাত্র পক্ষে আচার্য রসবোধানন্দ অবধূত ও পাত্রী পক্ষে অবধূতিকা আনন্দ অনিন্দিতা আচার্যা।
উল্লেখ্য, এই বিবাহ পদ্ধতিতে ছেলে ও মেয়েদের সমান গুরুত্ব দিয়ে পৌরহিত্য করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান সমাজের একটি গুরুতর ব্যাধি হচ্ছে পণ প্রথা, যা এই আন্তর্জাতিক বিবাহ পদ্ধতিতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিবাহ অনুষ্ঠান দেখার জন্য এলাকার মানুষ তথা আমন্ত্রিত আত্মীয় স্বজনদের উৎসাহ ছিল চোখে পরার মতো।
আচার্য রসবোধানন্দ অবধূত বলেন, আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘ একটি বৈপ্লবিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক সংগঠন। সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কু-প্রথা নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যদি হিন্দু ধর্মশাস্ত্র মেনে চলি তবে কন্যাকে কখনও বস্ত্র হিসেবে সম্প্রদান হয় না। আনন্দমার্গ পদ্ধতিতে একে অপরের দায়িত্ব নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে পরিবার গঠন। এটাই আমাদের বৈপ্লবিক বিবাহ। এই বিবাহের মধ্যে কোনও জাতিভেদ, বর্ণভেদ, পণপ্রথার বিরোধী। ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে যে কোনও জাতির মধ্যে বিবাহ দিয়ে থাকি। গোটা পৃথিবীজুড়ে এই বৈপ্লবিক বিবাহ চালু আছে। আচার্য বিশ্বামিত্রানন্দ অবদূতের মতে আনন্দ মার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রবক্তা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্তিজি ১৯৬১ সালে এই বৈপ্লবিক বিবাহের প্রবর্তন করেন।