চাঁচলঃ শুক্রবার ছিল মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam) জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। সকাল ন’টায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal super speciality hospital) কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে ৪৫ মিনিট পরে হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিলেন এক পরীক্ষার্থী। কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহিনী খাতুন কলিগ্রাম গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে চাঁচল সিদ্ধেশ্বরি ইনস্টিটিউশনে। এদিন সকাল সাতটায় প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন এই পরীক্ষার্থী। সাধারণ প্রসব প্রক্রিয়ায় ন’টার সময় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপরই তিনি পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
প্রসূতি মোহিনী জানান, তিনি জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তাই একবছর নষ্ট করতে চাননা। প্রসূতির এমন মনোবল দেখে হতবাক প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই প্রসূতি মায়ের ইচ্ছার কথা জানান পরীক্ষা কেন্দ্রে। এই খবর পাওয়া মাত্রই খাতা প্রশ্নপত্র নিয়ে হাজির হন পরীক্ষক। হাসপাতালেই তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে হাসপাতালের বেডে বসেই জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা দেন মোহিনী। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে প্রসূতির পরীক্ষা।
মোহিনীর বাবা মহসিন আলি বলেন, “হাসপাতাল থেকেই মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারল। সঠিক সময়ে প্রশ্নপত্র এসেছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের ধন্যবাদ।” মোহিনীকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও।