উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৯১ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকেই ম্যাচ জিতিয়ে আনলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অষ্টম উইকেটে ২০২ রানের পার্টনারশিপ করে আফগানিস্তানের মুখের থেকে কার্যত গ্রাস ছিনিয়ে নিলেন দুই অজি তারকা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ব্যাট করতে নেমেই দলের ৩১ রানের মাথায় আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু আরও এক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান শক্ত হাতে দলের হাল ধরে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৩ রান যোগ করেন জাদরান এবং রহমত শাহ। ২৬ রান করে আউট হন আফগান অধিনায়ক। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২২, মহম্মদ নবি ১২ ছাড়া কেউই বড় রান যোগ করতে পারেননি। একাই দলকে টেনে নিয়ে যান জাদরান। অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ক্যারিয়ারের সেরা। তবে শেষদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন রশিদ খান। ষষ্ঠ উইকেটে দ্রুত ৫৮ রান যোগ করে এই জুটি। ৩টি ছয়, ২টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন রশিদ। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপে শতরান করলেন জাদরান। ইনিংস শেষে ১৪৩ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৩টি ছয় এবং ৮টি চারে। ১৩১ বলে একশোয় পৌঁছন আফগান ওপেনার। ইনিংসে ছিল ৭টি চার। তাঁর হাত ধরেই আফগানিস্তান ২৯১ রানের বড় স্কোর করে। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জোশ হেজেলউড ২টি উইকেট নিয়েছেন। মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যাডাম জাম্পা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানের মধ্যে চার উইকেট তারা হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। আর ১০০ রানের আগে পড়ে যায় ৭ উইকেট। অজি ব্যাটারদের একেবারে কাঁদিয়ে ছাড়েন আফগান বোলারর নবীন উল হক এবং ওমরজাই। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের সংগ্রহ যথাক্রমে- ডেভিড ওয়ার্নার ১৮, ট্রেভিস হেড ০, মিচেল মার্শ ২৪, মার্নাস ল্যাবুশেন ১৪, জোশ ইংলিশ ০। মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। এই পরিস্থিতিতে যখন দলের হার একপ্রকার নিশ্চিত তখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একাই লড়াই চালিয়ে গেলেন। তাঁকে সঙ্গত করে গেলেন প্যাট কামিন্স। বেশি রান না করলেও কামিন্স কিন্তু উইকেট আঁকড়ে লড়াই করে গিয়েছেন সমান তালে। নিরাশ করেননি ম্যাক্সওয়েল। একাই দলকে টেনে নিয়ে গেলেন। আফগান বোলারদের তোয়াক্কাই করেননি তিনি। ক্রিজে ধরে থেকে দলকে জেতালেন তিনি। শুধু তাই নয় করলে দ্বিশতরানও।
পায়ে টান ধরলেও দলকে বিপদের মুখে ফেলে ছেড়ে যাননি। মাত্র ১২৮ বলে করেন ২০১ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ২১টি বাউন্ডারি এবং ১০টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। আফগানদের মুখ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আসেন এই অজি তারকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন ইনিংস এর আগে ঘটেছে বলে কেউ মনে করতে পারছে না।