পতিরাম: গ্রামের মেলাতে একসময়ের চেনা ছবি, ছোট থেকে বড় মেয়েরা সারি সারি ভাবে বসে মেহেন্দির দোকানদারের কাছে বিভিন্ন ডিজাইনের ডাইসে মেহেন্দির ছাপ করাচ্ছে। যুগ বদলেছে। বাজারে এসেছে বিশেষ পদ্ধতিতে প্যাকেটিং করা দেশি বিদেশি মেহেন্দি। এই প্যাকেট মেহেন্দির দাপটে বন্ধ হতে চলেছে গ্রামের মেলার সেই কাঠের ডাইস দিয়ে পরানো মেহেন্দি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই পেশা বদলাতে চাইছেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে।
গ্রামীণ মেলা মানেই হরেকরকম জিনিসের দোকানের সারি। মেয়েরা মেলায় গিয়ে সাজের জিনিস কিনতে যেমন ভিড় জমায়, তেমনই কাঠের ডাইসের এই ছাপ মেহেন্দির দোকানেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে ইদানিংকালে প্যাকেট মেহেন্দি গ্রামগঞ্জে সহজলভ্য হওয়ায় এই ছাপ মেওহেন্দি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এই কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিরা বিকল্প কাজের খোঁজ করছেন। একসময় একটা মেলা থেকেই হাত প্রতি পাঁচ টাকাতে ১০০০-১২০০ টাকা আয় হত, এখন হাত প্রতি দশ টাকা হয়েও ২০০-৩০০ টাকাও আয় হয় না। এরমধ্যে যাতায়াত ও জিনিসপত্রের খরচ তো রয়েছেই।
এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সুজিত বর্মন বলেন, ‘বালুরঘাট সাব ডিভিশনে আমরা কয়েকজন দোকানদার রয়েছি যারা প্রায় ২০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এখন চাইনিজ প্যাকেটিং মেহেন্দি বাজারে চলে আসায় আমাদের কাজ চলেই না। আমরা এখন কী করে খাবো? প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়ালে খুব ভালো হয়।‘