হরিশ্চন্দ্রপুরঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ মিলল হরিশ্চন্দ্রপুরের নিখোঁজ তরুণের। শিলিগুড়ি স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের। তবে এতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা এলাকার তরুণ মনোজিৎ মহন্ত(২৮) ওরফে রিকি কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়ির একটি চায়ের বাগানে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। ১৭ মে তিনি ফোন করে বাড়ি আসার কথা জানান। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ১৮ মে শিলিগুড়ি স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধারে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শিলিগুড়ি রেল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ছ’দিন ধরে খোঁজ না পেয়ে মনোজিতের বাড়ির লোকজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নিরুদ্দেশ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে দেন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুলিশ থেকে মনোজিতের বাড়িতে ফোন আসে। জানানো হয়, নিখোঁজ ওই তরুণের মৃতদেহ শিলিগুড়িতে রয়েছে। বাড়ির লোকজন এসে যেন দেহটি শনাক্ত করেন।
শুক্রবার সকালে মনোজিতের মামারা শিলিগুড়ি রওনা হয়েছেন ভাগ্নের মৃতদেহ নিয়ে আসতে। তবে কীভাবে মৃত্যু হল বাড়ির ছেলের, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। তাঁরা এই ঘটনার সঠিক পুলিশি তদন্তের দাবি তুলেছেন।
মনোজিতের মামা বারিন্দ্র অধিকারী জানান, ‘ছ’দিন ধরে ভাগ্নের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। জানতে পারি, বারসই স্টেশন থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল সে। তারপর থেকেই ফোনে কোনও যোগাযোগ হচ্ছিল না। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওর ছবিসহ বিজ্ঞপ্তি দিই। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুলিশ থেকে ফোন আসে, ওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৮ তারিখ বাগডোগরা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে ওর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। আমরা খবর পেয়ে শিলিগুড়ি যাই। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা শিবাণী।’
মনোজিৎ কুশিদায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। মা শিবাণীদেবী আইসিডিএস কর্মী। বাবা সুজিত মহন্ত তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। এই খবর পেয়ে শুক্রবার মনোজিতের বাড়িতে যান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ও জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন। তাঁরা শিবাণীদেবীকে সমবেদনা জানান। মর্জিনা বলেন, ‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা প্রশাসনের তরফে পরিবারটির পাশে রয়েছি