জলপাইগুড়ি: ক্যালেন্ডার থেকে যেকোনও তারিখ বললেই সেই দিনের বার বলে দিতে পারে জলপাইগুড়ির এই খুদে। ঝরঝর করে বলে দিচ্ছে বার, তারিখ সবকিছু। একবারও ভুল হচ্ছে না তার। এখানেই শেষ নয়, জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতাগামী যেকোনও ট্রেনের নাম, নম্বর, কোথায় কোথায় হল্ট রয়েছে এবং কী ইঞ্জিন গাড়িটির সঙ্গে যুক্ত তাও মুখস্থ এই ৬ বছরের শিশুর। শহরের নেতাজি পাড়ার দেবান্দ্যম পাল, সেন্ট পলস স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এত ছোট বয়সে কী করে তৈরি হল ক্ষুরধার স্মৃতিশক্তি! তা নিয়ে বিস্মিত তার পরিবারের সদস্যরাও।
ঠিক কীভাবে এই কাজ করতে পারছে দেবান্দ্যম সেটা নিজেও জানেন না মা দেবমিত্রা সরকার। ক্যালেন্ডারের প্রতি আলাদাই একটা টান রয়েছে দেবান্দ্যমের। ক্যালেন্ডার দেখে নিজেই প্রায় রপ্ত করে ফেলেছে ২০১৫- ২০২৩ সাল পর্যন্ত সব তারিখ এবং বার। শুধু তাই নয় আগামী পাঁচ বছরের যেকোনও তারিখ ও বার ধরে ধরে বলে দিতে পারে এই বিস্ময় বালক। সরস্বতী পুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজো প্রত্যেকটি পুজোর বার এবং তারিখ বলে দিচ্ছে এই ছেলেটি। ওর বয়সি খুদেরা যখন মোবাইলে আসক্ত, ঠিক সেইসময় টেকনোলজি ছেড়ে নিজের মতো করে ক্যালেন্ডার দেখার ঝোঁকই ওর এই অভাবনীয় স্মৃতিশক্তি বানাতে সাহায্য করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই জলপাইগুড়ির দেবান্দ্যমের পরিবারের লোকজন অত্যন্ত খুশি তার এই আকস্মিক সাফল্যে। দেবান্দ্যমের মা বলেন, ‘আমরা কোনদিন ওকে কিছু শেখাইনি। কিছুদিন ধরে দেখছি ও নিজেই এসে আমাদের বলছে। প্রথমে কদিন এভাবে চলতে চলতে আমরা খেয়াল করি যে দেবান্দ্যম সত্যি সব ঠিক বলছে। আমরা অন্যকিছু না বলে ওকে আরও উৎসাহিত করার চেষ্টা করি। এগুলো ও কোথা থেকে জানল বলতে পারব না। কিন্তু ওর এই ট্যালেন্ট সত্যি আমাদের বিস্মিত করেছে।‘
ছোট্ট দেবান্দ্যম আধো আধো কথায় বলছে, ‘আমার ক্যালেন্ডার দেখতে খুব ভালো লাগে। ওটা দেখেই আমি হিসেব করে পুরোনো ও নতুন বছরের দিন বলে দিতে পারি। কীভাবে পারি জানি না, কিন্তু পারি। ট্রেন সম্পর্কে জানতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই মনে রেখেছি।‘ কিন্তু কোথা থেকে ট্রেন সম্পর্কে সে এত কিছু জানল সেটা বলতে পারল না দেবান্দ্যম।