শিবশংকর সূত্রধর, কোচবিহার: রাজবাড়ি সংলগ্ন কোচবিহার স্টেডিয়াম (Stadium) কার্যত পুরসভার অলিখিত গ্যারাজ (Garage) হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পুরসভার (Municipality) ৬২টি গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু জলের ট্যাংক আছে। অথচ পুরসভার নিজস্ব গ্যারাজে মাত্র ২৫-৩০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বাধ্য হয়ে বাকি গাড়িগুলি কখনও কোচবিহার স্টেডিয়াম, কখনও রাসমেলা মাঠ, কখনও আবার রাস্তার ধারেই রেখে দেওয়া হয়।
স্টেডিয়ামে জলের ট্যাংকারগুলি (Tanker) রাখার ফলে সেখানকার খেলাধুলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। আবার রাস্তার ধারে গাড়ি রাখায় মাঝেমধ্যেই তার যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ খোদ পুরসভারই। সব মিলিয়ে গাড়ি নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সেই সমস্যা মেটানোর দাবি তুলেছে সাধারণ মানুষ।
চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘পুর পরিষেবার জন্য নতুন বেশ কিছু গাড়ি কেনা হয়েছে। তাই গ্যারাজে জায়গার সংকুলান দেখা গিয়েছে। রাস্তায় গাড়ি রাখার জন্য কিছু যন্ত্রাংশও চুরি হয়েছে। জেলা শাসকের সঙ্গে একটি জায়গা নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি সেটি পাওয়া গেলে সেখানেই গাড়ি রাখা যাবে।’
পুরসভার গ্যারাজে জায়গার সংকুলানের সমস্যা এই প্রথম নয়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যা রয়েছে। কয়েক মাস আগে আবর্জনার গাড়িও স্টেডিয়ামে রাখা হচ্ছিল। তবে খেলোয়ারদের অভিভাবকরা প্রতিবাদ জানালে সেগুলি রাখা বন্ধ হয়। তবে এখন আবর্জনার গাড়ি না থাকলেও জলের ট্যাংক রাখা হচ্ছে। এদিন বিকেলেও সেখানে প্রায় ১০-১২টি ট্যাংক রাখা ছিল। স্টেডিয়ামটির দেখভাল করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সংস্থার সচিব সুব্রত দত্ত বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জলের ট্যাংকগুলি সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
কোচবিহার স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেল মূল প্রবেশপথের ভিতরে বাঁদিকে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ (Training) হচ্ছে। তার পিছনেই সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে পুরসভার জলের ট্যাংক। অন্যদিকে মেয়েরা ভলিবলের অনুশীলন করছিলেন। তার পিছনেও বেশ কিছু জলের ট্যাংক দেখা গিয়েছে। কোচবিহারের বাসিন্দা এক অভিভাবক রূপক দেবের কথায়, ‘স্টেডিয়াম খেলাধুলোর জায়গা। এখানে খেলাধুলো বাদে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। জলের ট্যাংকগুলি এখানে না রাখাই ভালো। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে নজর দেবে।’