উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহষ্পতি তুঙ্গে রাহুল গান্ধীর। ‘মোদি’ পদবি মামলায় স্বস্তি, সংসদে প্রত্যাবর্তন, সঙ্গে ফিরে পেলেন নিজের পুরনো ঠিকানা। মঙ্গলবার সরকারি বাংলোয় ফিরে রাহুলের প্রথম বক্তব্য, ‘মেরে ঘর পুরা হিন্দুস্তান হ্যায়’। অর্থাৎ সারা ভারতই তাঁর ঘর। বলা ভালো তাঁর বাড়িতেই বাস করে গোটা ভারতবর্ষ।
রাহুলের প্রাক্তন ঠিকানা দিল্লি ১২, তুঘলক লেন। এখানেই সরকারি বাংলোয় সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার আগে থাকতেন তিনি। এবার সেই সরকারি বাসভবনেই সসম্মানে থাকার অধিকার পেলেন কংগ্রেস নেতা। ২০০৫ সাল থেকেই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা ছিল এই বাংলো। মার্চ মাসে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এপ্রিল মাসেই বাংলো ছাড়েন তিনি।এরপর সনিয়া গান্ধীর ১০ জনপথ রোডের বাংলোয় ওঠেন তিনি। দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাংলোয় গিয়ে ওঠার কথা ছিল তাঁর। শীলা দীক্ষিত মারা যাওয়ার পর তার পুত্র কংগ্রেস নেতা সন্দীপ সেখানেই থাকতেন। সন্দীপ ওই এলাকাতেই অন্য একটি বাংলোয় চলে গেলে দীক্ষিত পরিবারের সেই বাংলোই ছিল রাহুলের নতুন ঠিকানা। নিখরচায় ওই বাংলোতে রাহুলকে থাকতে দিতে চেয়েছিলেন সন্দীপ। কিন্তু সাংসদ রাজি হননি। তিনি ভাড়া দিয়েই ছিলেন সেখানে।
উল্লেখ্য, ‘মোদি’ পদবি মামলায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিকে শাস্তি দিয়েছিল সুরাট আদালত। বাতিল হয়েছিল সাংসদ পদ। তবে সুপ্রিম কোর্ট সুরাট আদালতের রায়ে স্বগিতাদেশ দেওয়ার পরেই তাঁকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। মঙ্গলবার সাংসদ হিসেবে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে অংশ নিয়েছেন তিনি। এসবের মধ্যেই নিজের সরকারি বাংলো পুনরায় ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি রাহুল গান্ধি।