বেলাকোবা: এক সময়ে থানা চত্বরের চারপাশ ছিল আবর্জনায় ভরা। এখন সেই থানারই ভোল পালটেছে। গোলাপ বাগানে সেজে উঠেছে থানা চত্বর। দিচ্ছে সৌন্দর্যায়ন আর পরিচ্ছন্নতার বার্তাও। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানাতে প্রবেশের মুখেই বাঁ দিকে রয়েছে গোলাপের বাগান। যেখানে রয়েছে লাল, নীল, বেগুনি প্রমুখ নিয়ে ২৫ প্রজাতির নানা রঙের গোলাপ। এই ফুল গাছ পরিচর্যার দায়িত্বে রয়েছেন থানার দেবজিৎ রায় নামে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। কাজের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সকাল বিকেল গাছের দেখাশোনা, পরিচর্যা, জল দেন। তবে যে অর্থ খরচ হয় এর পিছনে তা বহন করেন থানার আইসি পঙ্কজ সরকার।
গোলাপ বাগানের পাশাপাশি থানায় আসলে নজর কাড়বে রাজহাসেঁর দল। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ হাসঁগুলো থানাতেই থাকে। বলা চলে ছোট থেকে বড় থানাতেই। দিনের বেলায় থানা চত্বরে ঘোরাঘুরি করবে এবং রাত হলে থানার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে। এই রাজহাসঁ গুলোর পিছনেও যা অর্থ খরচ হয় তা আইসিই বহন করে। ১৬টি হাঁস ছিল এর মধ্যে চারটি কুকুরে খাওয়াতে বর্তমানে ১২টি রয়েছে। সব মিলিয়ে গোলাপ বাগান, রাজ হাসেঁর দল যেন পরিবেশরক্ষারই বার্তা বহন করে রাজগঞ্জ থানা।