রায়গঞ্জ: একটি স্কুলে ১০ বস্তা তো আবার অন্য স্কুলে ১৫ বস্তা চাল মজুত। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলিতে টানা ৪৫ দিন ছুটি ঘোষণা হওয়ায় পড়ুয়াদের জন্য রাখা চাল পড়ে রয়েছে। এই আচমকা ছুটি ঘোষণায় মিড-ডে মিলের (Mid-day meal) চাল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তাপপ্রবাহের কারণে এপ্রিল মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত সমস্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের প্রত্যেকটি স্কুলে মিড-ডে মিলের চাল সরবরাহ করা হয়েছিল আগেই। তাই অবস্থায় মজুত করা চালের ব্যবহার না হলে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। স্কুলগুলির অপরিচ্ছন্ন অপরিসর ঘরে খাবারের চাল পড়ে থাকে। মজুত চালে পোকা ধরে যাওয়া বা ইঁদুরে চাল নষ্ট করার নজির ইতিপূর্বে একাধিক স্কুলে দেখাও গিয়েছে।
এবিষয়ে মিড-ডে মিল বিভাগের জেলা আধিকারিক বলেন, ‘প্রতিটি স্কুলে তিন মাস অন্তর চাল পাঠানো হয়। সেইমতো এপ্রিল থেকে জুন মাসের স্কুল পিছু চাল মার্চের শেষে ইস্যু হয়েছে। কিন্তু এখন স্কুল বন্ধের ফলে মিড-ডে মিলের জন্য মজুত থাকা চাল নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে কিছু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’ অন্যদিকে, প্রায় দেড় মাস স্কুল ছুটির নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা সরব। এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক বলেন, ‘স্কুলে ছুটি প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি মিড-ডে মিলের চাল যাতে নষ্ট না হয়, সেই ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হবে।’