ময়নাগুড়ি: শীতের পড়তেই হাজির পরিযায়ী পাখিরা। অন্যান্য বছরগুলির থেকে চলতি মরশুমে পরিযায়ীদের সমারোহতে মুগ্ধ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীগুলো। জলঢাকা ও তিস্তার মাঝে রঙ বেরঙের পরিযায়ী পাখিদের সমাগমে উচ্ছ্বসিত পাখিপ্রেমীরাও। দিন কয়েক আগের থেকে পরিযায়ীদের বেশ কিছু প্রজাতিকে দেখা গিয়েছিল ছোট ছোট জলাশয়গুলিতে। সেই সকল প্রজাতির পাশাপাশি আরও নতুন কিছু শীতের অতিথির আগমন ঘটেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীগুলিতে।
ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘এটা একটা ভালো ইঙ্গিত। শীতের শুরুতেই এবার অনেক প্রজাতির পাখির সমারোহ ঘটেছে। তবে সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে তিস্তার জলস্তর বাড়ার সঙ্গে পলিস্তর বেড়ে উচ্চতা বেড়েছে, যার জেরে তিস্তার বুকে এবার পরিযায়ীর সংখ্যা কি থাকবে সেটা জানার জন্য আরও কিছু সময় দরকার। তবে তিস্তা ছাড়াও ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীগুলোতে পরিযায়ীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মিস গুজ, রুডি শেল্ডাক, পিন্টেল, কমন গ্রুস, লেসার হুইসলিং সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সকল পরিযায়ী পাখি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এখানে আসে সেগুলির অনেক প্রজাতি এবার আগেই উপস্থিত হয়েছে। তবে প্রতিবারই এক শ্রেণির চোরাশিকারীরা এই ধরনের পরিযায়ীদের শিকারের উদ্দেশ্য নিয়ে জমা হন, তাই এবারও যাতে এই ধরনের অপরাধ না ঘটে সেজন্য তারা বিভিন্ন জায়গাতে অভিযান শুরু করেছেন। বন দপ্তরের কাছে এবিষয়ে তারা আবেদন জানাবেন যাতে এই ধরনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়।