উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট স্বস্তি রাজ্যের জন্য। কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত নন নিপা ভাইরাসে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে শুক্রবার রিপোর্ট আসে ওই যুবকের। তাতে দেখা গেছে তাঁর নিপার রিপোর্ট নেগেটিভ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ওই যুবক সহ রাজ্যের বাসিন্দারা।
বর্তমানে ওই যুবক ভর্তি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডিতে। তিনি কিছুদিন আগে ফিরেছিলেন কেরল থেকে। টানা জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক।ছিল ফুসফুসের সংক্রমণও। সেই সঙ্গে ছিল তাঁর দু পা ফোলা।অন্যদিকে তিনি কেরলে যাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে জানা যায়।তাঁর এই উপসর্গ গুলির সঙ্গে নিপার মিল থাকায় এবং তিনি কেরল থেকে আসায় চিকিৎসকদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায় নিপা নিয়ে।কিন্তু নিপায় আক্রান্ত কিনা তা জানার কোন উপায় ছিল পশ্চিমবঙ্গে। কারণ রাজ্যে এখনো নিপার পরীক্ষা করার মত পরিকাঠামো নেই।কেউ নিপায় আক্রান্ত কিনা তা জানতে ভরসা করতে হয়, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজির ওপর। অবশেষে সেখান থেকেই এল স্বস্তির খবর।
রাজ্যে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির পর যথেষ্ট চিন্তার কারণ তৈরি হয়েছিল নিপা ভাইরাস নিয়ে। কেননা নিপা সংক্রমণে দ্রুত খুব শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়। সঙ্গে হয় এনকেফেলাইটিস। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আক্রান্তই মারা যান। এই ভাইরাসের নেই কোন সঠিক চিকিৎসা। মারণ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি হলেও খুব দ্রুত ছড়ায় না। ফ্রুট ব্যাটস নামে এক ধরনের বাদুড়ের মারফত ছড়ায় এই রোগ। কোনও ফল বাদুড় খেয়ে যাওয়ার পর যদি সেই ফল কোনও মানুষ খেয়ে নেন, তাহলে তিনি সংক্রমিত হবেন। বাদুড়ে খাওয়া বা প্রস্রাব করা ফল বা ফলের আনপাস্তুরাইজড জুস খেলে সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া খেজুড়ের রস বা তাড়ি থেকেও সংক্রমণ হতে পারে যদি তাতে ফ্রুট ব্যাট মুখ দিয়ে থাকে।সুতরাং চিকিৎসকেরা সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর নিপার উপসর্গের মত কোন কিছু দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।