উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অপেক্ষার অবসান। লোকসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এদিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। অন্যবারের মতো এবারও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন একাধিক তারকা। প্রার্থী তালিকায় দেব, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও বাদ পড়েছেন মিমি, নুসরত জাহান।
প্রার্থী তালিকা থেকে কেন বাদ পড়লেন টলিউডের দুই বিখ্যাত অভিনেত্রী তথা গতবারের সাংসদ নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) এবং মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)? গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ মিমি। মমতার সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সব সময় আমি কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’’ তাহলে কি দলের কোনও কার্যকলাপ বা কোনও বিশেষ মানুষ অস্বস্তিতে ফেলেছেন যাদবপুর সাংসদকে?
মিমির পাশাপাশি এবার প্রার্থী করা হয়নি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানকে। বসিরহাটের এই সাংসদকে নিয়ে কম হ্যাপা পোহাতে হয়নি তৃণমূলকে। মাসকয়েক আগে নুসরত ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। ফ্ল্যাট সংক্রান্ত প্রতারণা মামলার তদন্ত করছে ইডি। নুসরতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মামলা চলছে আলিপুর আদালতে।
এছাড়া সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনাতেও সাংসদকে পাশে পায়নি সেখানকার মানুষজন। নিজের কেন্দ্র সন্দেশখালি না যাওয়ায় নুসরতকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এছাড়া সংবাদমাধ্যমে একের পর বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন এমন অভিযোগও আছে। সেই কারণেই এবার নুসরতকে প্রার্থী করা হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। টিকিট না পাওয়া মিমি চক্রবর্তীর যাদবপুর কেন্দ্রে এবার প্রার্থী হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ। বসিরহাট কেন্দ্রে নুসরতের জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম।