গাজোল: সম্প্রতি দিন কয়েকের প্রবল বর্ষণের জেরে মালদা জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজোল ব্লক। হাজার হাজার বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। গরিব মানুষের বাড়িঘরও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রবল বর্ষণের জেরে। ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন এলাকায় চলছিল ত্রাণ সামগ্রী বিলির কাজ। এদিন সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী, মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং, বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি এবং জেলা ও ব্লক প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা গাজোল ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ’মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ধানের জমি সহ সাধারণ মানুষের বাড়িঘর চরম ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা প্রশাসনের তরফে এই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছি। সঙ্গে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। এই তালিকা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব। এদিন আহোড়াতে সেচ দপ্তরের বাঁধের রাস্তা মেরামতের দাবিতে পথ অবরোধ করেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ব্লকের প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি ওখানকার স্কিম আমাকে বিশদভাবে জানাতে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আমি আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বললেন, এবারের অতিবৃষ্টিতে মালদা জেলার চারটি ব্লকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে গাজোল এবং বামন গোলা ব্লকে। প্লাবিত এলাকার মানুষেরা যাতে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য আমরা তাদের হাতে পুজোর নতুন জামা কাপড় তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি ত্রিপল সহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। নৌকাতে করে আমরা গাজোলের রানীগঞ্জ ছাড়াও হবিবপুর এবং পুরাতন মালদার বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখান থেকে আমরা যাব বামনগোলা। সমস্ত এলাকার রিপোর্ট তৈরি করে আমরা প্রশাসনের হাতে তুলে দেব। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই রয়েছে। আগামী দিনেও এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সরকার থাকবে।
তবে এরইমধ্যে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি জানান, এই সময় যদি এই সমস্ত দুর্গত মানুষেরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পেতেন তাহলে তাদের অনেক উপকারে আসতো। কিন্তু বিজেপি সরকার গরিব মানুষদের টাকা আটকে রেখেছে। গরিব মানুষরা যাতে তাদের হকের টাকা পান তার জন্য লড়াই করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানকার বিধায়ক এবং সাংসদ দুজনেই বিজেপির। তাদের বলবো ভোট আসলে ভোট করবেন। কিন্তু এখন দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ান। গরিব মানুষের প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলে দিন তাদের হাতে।