ফুলবাড়ি: মদের দোকান গুঁড়িয়ে দিলেন মহিলারা। সোমবার ভোরে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ফুলবাড়ির ক্ষেতিতে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে মাথাভাঙ্গার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল ও ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি অজিতকুমার শায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। পুলিশ জানিয়েছে, দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে দুই মহিলা সহ মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষেতিতে মদের দোকান তৈরি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলছিল চাপানউতোর। বিভিন্ন সময়ে ক্ষেতি সর্বজনীন শান্তি রক্ষা কমিটি ও প্রমিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আন্দোলন চলে। তারপরও প্রশাসনের তরফে দোকান চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর তা চালু করা হয়। সেই ক্ষোভে এলাকার কয়েকশো মানুষ একত্রিত হয়ে মদের দোকানটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এদিন।
দোকানের মালিক হরিদাস বর্মনের অভিযোগ, ‘দোকানটি চালু ছিল। অনেক মালপত্রও রাখা হয়েছিল। বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। সোমবার ভোরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। দোকানে থাকা অনেক কিছু লোপাট হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দোকান ঘর, সিসিটিভি সহ সমস্ত কিছু।’ হরিদাসবাবু আরও বলেন, ‘লিখিতভাবে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত দোকান। তাই বিষয়টি এখন প্রশাসন দেখবে।’
যদিও প্রমিলা বাহিনীর পক্ষে সরস্বতী বর্মন ও শান্তনা মজুমদারের বক্তব্য, ‘এলাকায় মদের দোকানের বিরুদ্ধে নয়-দশ মাস ধরে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। এসডিও, বিডিও সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কিছুদিন আগে দোকানে মদ ঢোকানো হয়। মদ খেয়ে অনেকে অসংলগ্ন আচরণ ও গালিগালাজ করছে। ছেলেমেয়েরা স্কুল, কলেজ ও টিউশনে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কী করতে পারি। তাই এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছে।’ সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকশো পুরুষ ও মহিলা অভিযোগ জানাতে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় যান।