উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য পরিচয়ের পরই যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আকূল আর্জি পেশায় মডেলের। আর তাতে প্রলুব্ধ হলেই খোয়াতে হচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। অভিনব কায়দায় এমনই প্রতারণার ছক সম্প্রতি তদন্ত করে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে কর্নাটক পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, নেহা ওরফে মেহের নামে পেশায় মডেল এক যুবতীই ক্লায়েন্টদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের লোভ দেখিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠাতেন। কিছুক্ষণ ঘনিষ্ঠতা করে সেই ভিডিও তুলে রাখা হত। এরপরই অন্য মূর্তি ধরতেন ওই মডেল যুবতী। ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চাপ দিয়ে আদায় করা হত টাকা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অন্তত ৫০ জন পুরুষকে টার্গেট করে অন্তত ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছেন ওই যুবতী ও তার সঙ্গীরা।
সম্প্রতি এক অভিযোগকারী বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, পেশায় মডেল ওই যুবতীর সঙ্গে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপেও কথা বলতেন। যুবতী তাঁকে জানান, তাঁর স্বামী দুবাইতে থাকেন। নিজের একাকীত্বের কথা তুলে ধরে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাবও দেন ওই মডেল যুবতী। এমনকি নিজের কিছু ছবি ও বাড়ির ঠিকানাও শেয়ার করেন ওই যুবতী। অভিযোগকারীর দাবি, তিনি গত ২৫ মার্চ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই যুবতীর বাড়িতে যান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আচমকা তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হন। তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এমনকি হুমকি দেন, অন্তত ৩ লক্ষ টাকা না দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় হাঁটাবেন। এমনকি স্থানীয় মসজিদে নিয়ে গিয়ে মেহেরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথাও জানান। বাধ্য হয়ে নিজের মোবাইল থেকে ২১৫০০ টাকা অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠান ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বাকি টাকার জন্য তাঁর উপর চাপ দিতে থাকে ওই তিন অপরিচিত। শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে ক্রেডিট কার্ড আনার অছিলায় ছাড়া পান তিনি। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্তে নেমে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত মডেল যুবতী এখনও ফেরার। তবে মুম্বইতেই তার টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।