উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে ডুরান্ডে যাত্রা শুরু করল মোহনবাগান। ৫-০ গোলের ব্যবধানে বাংলাদেশ আর্মিকে হারাল সবুজ মেরুন। ৯০ মিনিট ধরে যুবভারতীর সবুজ গালিচায় বিদেশি দলটিকে একপ্রকার নাচিয়ে ছাড়লেন বাগানের তরুণেরা। গোল মিস না করলে জয়ের ব্যবধানের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত। এদিন একাধিক তরুণ ফুটবলারকে নিয়েই দল সাজিয়েছিল মোহনবাগান।
শুক্রবার যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হল ডুরান্ড কাপ। বলে লাথি মেরে এই ডুরান্ডের দামামা বাজিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাপের প্রথম খেলায় এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন মোহনবাগান বনাম বাংলাদেশ আর্মি। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে রেখে তরুণ দল নামিয়েছে মোহনবাগান। অন্য দিকে বাংলাদেশ আর্মি দলে খেলেছে সে দেশের একাধিক জাতীয় দলের ফুটবলার। এদিন বাগানের তরুণ দলের কাছেই একপ্রকার নাস্তানাবুদ হলেন বাংলাদেশের দলটি।
খেলার শুরু থেকেই মাঠের দখল নেয় মোহনবাগান। শুরু থেকেই আক্রমনে যায় মোহনবাগান। তিন অভিজ্ঞ ফুটবলার সুমিত রাঠি, লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিংহের নেতৃত্বে আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন তরুণ ফুটবলার সুহেল ভট্ট, রবি রানারা। দু’দিকের প্রান্ত থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। ১৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় বাগান। গোল করেন লিস্টন। বল ধরে বাঁ পায়ের টোকায় দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ২৭ মিনিটের মাথায় সুহেলকে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বাগান। মাটি ঘেঁষা শটে গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। ৩৯ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করে বসে বাংলাদেশ আর্মি। সুহেলের শট গোলরক্ষকের মাথায় উপর দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু মেহেদির আত্মঘাতী গোল হিসাবে সেটি দেখা হয়। বিরতির আগেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ আর্মির মিজানুর রহমান। ১০ জনে হয়ে যায় দল। প্রথমার্ধে ৩-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় সবুজ মেরুন।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকে মোহনবাগান। ৫৮ মিনিটের মাথায় দলের চার নম্বর গোল করেন বাগানের নামতে। লিস্টনের ফ্রি কিক থেকে মনবীরের ব্যাকহিল ধরে বক্সের বাইরে ডান পায়ের টোকায় গোল করেন নামতে। ৪-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। চার গোল হজম করে আরও খেই হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ আর্মি। ক্লান্ত দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ আর্মির ফুটবলারদের। ৮৯ মিনিটের মাথায় লিস্টনের দূরপাল্লার শট কোনও রকমে বাঁচান বাংলাদেশের গোলরক্ষক। কিন্তু কাছেই ছিলেন কিয়ান। ফিরতি বলে গোল করে ৫-০ করেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না বাংলাদেশ আর্মির। প্রথম ম্যাচেই ৫ গোলে জয় ডার্বির আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে মোহনবাগানকে।