কলকাতা: রবিবাসরীয় যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন। দশ জনের মোহনবাগানের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল। এনিয়ে ডুরান্ডে ১৭ বার চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান।
রবিবার কলকাতায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯ বছর পর এদিন ডুরান্ডের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে একে অন্যকে মেপে নিয়ে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চলছিল ফাউলও। খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় সিভেরিয়োকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সবুজ মেরুনের অনিরুদ্ধ থাপা। এতে দশ জনে হয়ে যায় মোহনবাগান। যদি এতে তারা কুঁকড়ে যায়নি। শেষ প্রায় ৪০ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় তাদের। তবে রক্ষণাত্মক রণকৌশলের পরিবর্তে ইস্টবেঙ্গল বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা।
বিরতিতে গোল শূন্য ছিল। ৭১ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন পেত্রাতোস। সেটাই ম্যাচের একমাত্র গোল। নির্ধারিত সময়ে গোল শোধ করতে পারেনি লাল হলুদ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে সংযোজিত সময় দেওয়া হয় ৯ মিনিট। কিন্তু চেষ্টা করলেও গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ১-০ গোলে লাল হলুদকে হারিয়ে ২৩ বছর পর ডুরান্ড জিতল মোহনবাগান। শেষবার তারা ২০০০ সালে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডকে হারিয়ে ডুরান্ড জিতেছিল।
ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে গিয়েছিল মোহনবাগান। ফাইনালে সেই লাল-হলুদকেই হারিয়ে ১৭ বারের জন্য এই ট্রফি ঘরে তুলল সবুজ মেরুন। এত দিন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যৌথভাবে ১৬ বার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মোহনবাগান। এবার লাল-হলুদকে টপকে তারাই সবচেয়ে বেশি ডুরান্ড জিতল। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই স্টেডিয়ামে সুবজ মেরুন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে। দলের ফুটবলাররা সমর্থকদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।