মাটিগাড়া: বর্ষা এলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। বিঘার পর বিঘা জমি চলে যায় জলের তলায়। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা প্রশাসনকে বহুবার জানালেও ভাঙন রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মাটিগাড়া ব্লকের পাথারঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
ফুলবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী রক্তি, যা কালিঝোরা, রোহিণী এবং বালাসনের মিলনস্থল। ফলে বর্ষায় ভয়াবহ আকার নেয় এই নদী৷ ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের সময় বলা হয়েছিল নদীতে বাঁধের ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা প্রায় দেড় মাস আগে নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণে এলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেছিলেন, ‘বর্ষার আগে কাজটি শেষ হবে।’ কিন্তু নদীর ভাঙন শুরু হলেও কোনও বাঁধ নির্মাণ হয়নি। স্থানীয়দের বক্তব্য, বর্ষা পেরোলে কাজ শুরু হবে? এ বিষয়ে অরুণ ঘোষ বলেন, ‘আমরা সেচ দপ্তরকে মহকুমা এলাকার বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। তারা কাজও শুরু করেছেন। তবে বৃষ্টির কারণে একাধিক জায়গায় কাজ থেমে আছে।’