মেখলিগঞ্জ: তিস্তা নদীতে জল বাড়ার পর থেকে আতঙ্ক ছড়ায় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জেও। তিস্তার জলে ভেসে যেতে দেখা যায় কাঠ, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অনেককিছুই। এরকমই ৭০ মেখলিগঞ্জ সংলগ্ন তিস্তা নদীর চরে ভেসে আসল মর্টার শেল।
এদিন মেখলিগঞ্জ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাত্যকি দাস বন্ধুদের সঙ্গে তিস্তার চরে মাছ ধরতে গিয়ে মর্টার শেলটি দেখতে পায়। প্রথমে সেটিকে জলের বোতল ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে সার্থকী। পরে শেলটি জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করার পর সে বুঝতে পারে এটি কোনও জলের বোতল নয়। এলাকায় একটি রাস্তার ধারে থাকা বট গাছের নীচে সেটিকে নিয়ে খেলতে থাকে সাত্যকি ও তার বন্ধুরা। এমন সময় পথচলতি মানুষের নজরে পড়ে বিষয়টি। বোমা পাওয়া গিয়েছে বলে মুহূর্তে গুজব ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পৌঁছায় ৭০ মেখলিগঞ্জের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কাছে। খবর দেওয়া হয় মেখলিগঞ্জ থানায়ও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শেলটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে এদিনই জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের চাঁপাডাঙ্গায় মর্টার শেল বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে আইনুর আলম নামে ৭ বছরের এক শিশুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তার হড়পায় সেনার মর্টার শেল ভেসে এসেছিল। আইনুরদের পরিবারের এক সদস্য নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সেটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এদিন মর্টার শেলটি পরিষ্কার করে খেলছিলেন আইনুর-তসমিরা সহ বাড়িরই আরও কয়েকজন। সেই সময় আচমকা তাতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আইনুরের। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টির দিকে নজর রেখেছেন।