কালিয়াগঞ্জ: অবশেষে শান্তিপূর্ণভাবে মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হল কালিয়াগঞ্জে। বুধবার সকালে কড়া পুলিশি প্রহরার ঘেরাটোপে ১৪৪ ধারার মধ্য দিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পক্রিয়া সমাপ্ত হয়। তৃণমূলের ১৮ জন গ্রাম সংসদ সদস্যদের সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের প্রধান গোলাম মোস্তাক এবং উপপ্রধান হন সারদী দেবশর্মা। এদিকে, তৃণমূলের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি এদিন ৭ জনের সমর্থন জোটাতে সক্ষম হয়। এদিন বিজেপির ২ জন, সিপিএমের ২ জন এবং কংগ্রেসের ১ জন জনপ্রতিনিধি বোর্ড গঠনে অনুপস্থিত ছিলেন। আগামী দিনে গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের পক্ষে তৃণমূল বোর্ড কাজ করবে দাবি করেন সদ্য নির্বাচিত প্রধান গোলাম মোস্তাক। এদিন কালিয়াগঞ্জের মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের আশেপাশে বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা না গেলেও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা বোর্ড গঠন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ভবনের বেশকিছুটা ঠায় দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বোর্ড গঠনের পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালার বক্তব্য, ‘আজ ইসলামপুরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও কালিয়াগঞ্জ মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দুটিতেই আমরা বোর্ড গঠন করলাম। কালিয়াগঞ্জের ক্ষেত্রে সেদিন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির জেরে বোর্ড গঠন পক্রিয়া স্থগিত পক্রিয়া স্থগিত হয়েছিল।’
এদিন তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী ১৩ জন জনপ্রতিনিধি ছাড়াও ২ জন কংগ্রেস, ২ জন সিপিএম এবং ১ জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলের প্রধান গোলাম মোস্তাককে সমর্থন করেন। তবে, বিতর্কিত মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতকে ঘিরে এই বোর্ড গঠনের দিনেও বিজেপির প্রতীকে জয়ী ২ জন জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিকে ঘিরে প্রশ্ন ওঠে সাধারণ মানুষের মনে। তাহলে কি বিজেপির ওই ২ জন জন প্রতিনিধি উপস্থিত না থেকে নিঃশব্দে তৃণমূলকেই সমর্থন করে বসলেন? বিষয়টি খোলসা করতে ওই এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বেনু দেবশর্মা বলেন, ‘একজনের শরীর অসুস্থ। বাড়িতেই রয়েছেন। আরেকজনের তৃণমূলের সন্ত্রাসের কাছে ভয় পেয়ে বাড়িতেই থেকে গিয়েছেন। আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা বোর্ড প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দখলে নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।’ তবে কালিয়াগঞ্জের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্যের দাবি, ‘ওই দিন সহজেই তৃণমূলের বোর্ড গঠন হয়ে যেত। টেকনিক্যাল কারণে সেদিন বোর্ড গঠন হয়ে ওঠেনি। আজ তৃণমূল বোর্ড গঠন করল। সত্যের জয় হল।’