সৌম্যজ্যোতি মন্ডল, চাঁচল: স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছেন কিছুদিন আগে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন এক সন্তানকে। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর কাছে থেকে গিয়েছিল দুই শিশু সন্তান। ১২ দিন আগে আরেকটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী টগরি খাতুন। ভিন রাজ্যে কাজ করে কীভাবে তিন সন্তানকে লালন পালন করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন গিয়েছিলেন টগরি।। এরপর নিঃসন্তান দম্পতির হাতে শিশুকে তুলে দিতে গিয়েই ধরা পড়ে যান ওই মহিলা।। তবে আদৌ টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে হস্তান্তর করা হচ্ছিল না অভাবের কারণেই এই সিদ্ধান্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানা এলাকার বাসিন্দা টগরি খাতুন। সন্তানদের নিয়ে স্বামী জহর আলির সঙ্গে ভিন রাজ্যে কাজ করতেন তিনিও। কিন্তু কিছুদিন আগেই জহর আলি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে টগরিকে ছেড়ে চলে যায়। সেই সময় সন্তানসম্ভবা ছিলেন টগরি। কিছুদিন আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন টগরি। দুশ্চিন্তার মধ্যেই ট্রেনে করে ডালখোলায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন টগরি। পথে চাঁচলের খানপুরের বাসিন্দা তাজামুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তাজামুল নিজেও পরিযায়ী শ্রমিক। তাজামুলের কোনও সন্তান না থাকার কথা জানতে পেরে তার হাতে সন্তানকে তুলে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে টগরি।।
এরপর পরিকল্পনা মতো চাঁচলের (Malda)খানপুর গ্রামে ওই দম্পতির বাড়িতে সদ্যোজাতকে (New born) তুলে দিতে এসেই বিপত্তি বাধে। গ্রামে বাচ্চা বিক্রির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওই মহিলাকে আটক করে পুলিশ। মহিলা টাকার বিনিময়ে না অভাবের তাড়নায় ওই দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দিতে চেয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেজাউল হক বলেন, ‘ওই মহিলা অভাবে তাড়নায় স্বেচ্ছায় নিজের সন্তানকে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দিতে চেয়েছিলেন। বাকি ভেতরে কি বিষয় রয়েছে সেটা পুলিশ দেখবে।’