চোপড়া: মাটি চাপা পড়ে চার শিশুর অকাল মৃত্যুতে মঙ্গলবার এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার জন্য বিএসএফকে দায়ী করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, চোপড়া থানার চেতনাগছ গ্রামে ঘটনাস্থলের পাশেই বিএসএফের চৌকি রয়েছে। খনন করা মাটি অন্যত্র গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেখানেই শিশুরা দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিএসএফের নজরের সামনে খনন কাজ চলেছে। চাইলেও এর দায় বিএসএফ এড়াতে পারে না। কারণ সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার তাঁদের উপর রয়েছে। সীমান্তের রাস্তা ঘেঁষে প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে অন্তত দশ ফুট গভীর নালা খনন করা হয়েছে। সেই মাটি গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা দেখতে গিয়েই ওই চার শিশু মাটি চাপা পড়ে।
ঘটনার পর থেকে গ্রামে চারপাশ থেকে মানুষের ঢল নামে। গ্রামবাসীরা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন। মৃতের আত্মীয় পরিজনদের বক্তব্য, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতরা ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তবে, আর্থমুভারের চালককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতেই খননকার্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন ওই গ্রামে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ফেরার পথে চোপড়া থানায় আসেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। বিএসফকে দায়ী করে তিনি জানান, বিএসএফের যোগসাজশে ওই জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল আগামীকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান সীমান্তে নালা খননের ঘটনায় বিএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বিএসএফের চোখের সামনে খনন কাজ চলায় এর দায় বিএসএফ এড়াতে পারে না।’ বিডিও সমীর মণ্ডল জানান, জেলাশাসক নিজেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে, সবধরনের সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। বিএসএফের তরফে অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।