রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) আর্থিকক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির (financial corruption) অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শামিল শিক্ষাকর্মীরা। অভিযোগ, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির পাশাপাশি অরাজকতা ও একনায়কতন্ত্র চলছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি আন্দোলনে নামেন শিক্ষাকর্মীরা। তাদের আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে যায়। যদিও এদিন উপাচার্য দীপককুমার রায় ছিলেন না।
শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন চুলোয় উঠেছে। সুষ্ঠু পরিবেশের জায়গায় চরম অরাজকতা ও ভয়াতঙ্ক, ন্যায়নীতি রূপান্তরিত হয়েছে চরম আর্থিক দুর্নীতিতে এবং জমেছে দুর্নীতির পাহাড়। সার্বিক উন্নয়ন স্তব্দ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি উপাচার্যের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইনচার্জ তথা কলা, বাণিজ্য ও আইন বিভাগের ডিন প্রশান্ত মাহালার কাছে তাদের স্মারকলিপি তুলে দেন।
তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি তপন নাগের বক্তব্য, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে সংগৃহীত অর্থ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেআইনিভাবে বাংলার রাজ্যপালকে কি কারণে দেওয়া হল তার কারণ আজ জানতে এসেছিলাম। সেই সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে কত টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে কেউ আমরা জানিনা। সেটাও উপাচার্যের কাছে জানতে এসেছিলাম। তিনি অভিযোগ করেন, পছন্দের লোককে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকিউরিটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য কয়েকজন মিলে টেন্ডার কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এদিন তারা টেন্ডার নোটিশ বাতিলের দাবি জানান। যদিও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইনচার্জ তথা ডিন প্রশান্ত মাহালা ও রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার কোনও মতামত দিতে অস্বীকার করেন।