চাঁচল: একদিকে চাঁচল মহকুমা আদালত, পাশে চাঁচল কলেজ, আরেক দিকে মহকুমা শাসকের কার্যালয়, আর অন্য পাশে ঐতিহ্যবাহী চাঁচল (Chanchal) সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন। তার মাঝেই রয়েছে একটি খেলার মাঠ। এলাকায় যে মাঠ ‘কলেজ মাঠ’ হিসেবেই পরিচিত। মহকুমা শাসকের দপ্তরের অধীনে রয়েছে এই মাঠ (Play Ground)। সন্ধ্যা নামতেই সেই খেলার মাঠ সমাজ বিরোধীদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই মাঠে কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের একটি মেলা এবং চাঁচল কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। যার ফলে সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা মাঠের। বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্ত রয়েছে। তারই মধ্যে সমাজ বিরোধীদের সৌজন্যে খেলার মাঠ যেন নেশার ঠেক (Drug consumption)। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল, ভাঙা কাঁচ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই অবস্থার জন্য মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ হারিয়ে গিয়েছে। শিশুরা খেলাধুলা করতে পারছে না। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই মাঠে চলছে তাস খেলা। জুয়া থেকে শুরু করে মদ্যপান কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলে মিলছে মস্তানদের হুমকি। হেলদোল নেই পুলিশ প্রশাসনেরও। পাশেই যেখানে মহকুমা শাসকের দপ্তর এবং আদালত। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা থাকা সত্বেও পুলিশের কীভাবে নজর পড়ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব চন্দ বলেন, ‘পাশেই আমার বাড়ি। কিন্তু সন্ধ্যার পর মাঠের দিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। জুয়া খেলা থেকে মদ্যপান সবকিছুই চলছে।‘ আবু মহম্মদ পারভেজ নুরের বক্তব্য, ‘শুধু ওই মাঠ নয় চাঁচলের স্টেডিয়াম সহ বাকি মাঠগুলোতেও একই অবস্থা। খেলাধুলার পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর চলছে নেশার আসর। কিন্তু প্রশাসন নীরব।‘
জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্যি হলে খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমি স্থানীয় পুলিশকে বলব বিষয়টি দেখতে। মাঠ সংস্কারের ব্যাপারেও দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।‘
চাঁচলের এসডিও সৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশকে বলা হয়েছে নজরদারি বাড়াতে। এরকম কিছু দেখলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। আর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মাঠের আলো এবং সংস্কারের কাজ দ্রুত হবে।‘