বড় শৌলমারি: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে চলছে মাটি ও বালি লুট। মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুজনাই নদীর চরে অবাধে চলছে এই কারবার। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
স্থানীয় জিগাবাড়ি ঘাটের দক্ষিণ দিকে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের পাশে নদী থেকে কিছুটা দূরে মাটি ও বালি কেটে নেওয়ার চিন্তিত স্থানীয় মানুষ। এমনকি বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্ত দে নিজেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এলাকায় বেশ কয়েক ফুট গভীর করে বিশাল এলাকাজুড়ে মাটি ও বালি কেটে পাচার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় জলস্তর পর্যন্ত মাটি ও বালি কাটা হয়েছে। যেখানে ট্রলি নামিয়ে মাটি কাটলেও বাইরের এলাকা থেকে ট্রলি দেখা যায় না। আশঙ্কা এলাকায় যেভাবে মাটি ও বালি কাটা হয়েছে বর্ষায় প্লাবন হলে মুজনাই নদী তার গতি পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। ভাঙনের কবলে পড়তে পারে স্থানীয় বনসৃজন প্রকল্প ও কৃষি জমি।
মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। নিয়ম মেনে সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করলে। পরে তার ভেরিফিকেশন করে শুধু মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। নদীর পাশে হলে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না। মাটি কাটতে গিয়ে কোথাও বালি বেরিয়ে গেলে সেখানকার মাটি কাটতে দেওয়া হয় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, এলাকায় অনেকদিন আগে থেকেই মাটি ও বালি কাটা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পরে একবার এলাকায় গিয়ে দেখেছি। ওখানে মারাত্মকভাবে গভীর করে মাটি ও বালিকাটা হয়েছে। মাটি ও বালি কাটার সঙ্গে বিভিন্ন চক্র জড়িত রয়েছে। ডিসিআর কেটে কোনও মালিকানাধীন জমির মাটি ও বালি না কেটে। ওখানে সরকারি জমির মাটি ও বালি কাটা হচ্ছে। যেখানে সরকারি বনসৃজন প্রকল্প রয়েছে। সরকারিভাবে একটি জৈব সার তৈরির প্রকল্প তৈরি হয়েছে। এলাকায় কোনও স্থায়ী পাড় বাঁধ নেই। তাই বর্ষায় প্লাবন হলে ওগুলির ক্ষতি হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব। পুলিশ প্রশাসন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকেও উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটা না হয়।