হেমতাবাদঃ জমিতে কাজ করার সময় শিয়ালের (Fox bite) কামরে জখম হলেন এক বৃদ্ধ। এদিন প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধকে প্রথমে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Raiganj Medical College & Hospital) রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। জখম বৃদ্ধের নাম কলিমুদ্দিন আহমেদ (৭৫) বাড়ি কাপাসিয়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বৃদ্ধ কলিমুদ্দিন আহমেদ জমিতে সরিষা তোলার কাজ করছিলেন। আচমকা ওই বৃদ্ধের উপর হামলে পরে শিয়াল। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এরপর শেয়ালটি কামর দেয় এক ট্রাক্টর চালককে। তিনিও অল্পবিস্তর জখম হন। শেয়ালের কামরে জখম বৃদ্ধার চিকিৎসা রায়গঞ্জ মেডিকেলে চললেও, জখ ট্রাক্টর চালককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয় ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা ও সুঁই নদীর নদীর ধার ও জঙ্গল ছেড়ে এক ঝাঁক শিয়াল ঢুকে পড়েছে সংলগ্ন এলাকায়। শেয়ালের আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইটাহারের কাপাসিয়া, মারনাই এলাকা। রাত জেগে মশাল জ্বালিয়ে ও শিয়াল তাড়ানো সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে শিয়ালের কামড়ে এক মাসে জখম হয়েছে অন্তত ১৬ জন গ্রামবাসী। শিয়ালের তাণ্ডব রূপে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশেরও কিছু করার নেই। জেলা বনদপ্তরের একটি বার্তা পাঠিয়ে পুলিশ ও দায় সেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
শুধু ইটাহার থানা এলাকায় নয় হেমতাবাদের চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরতপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে কুলিক নদী। অদূরেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জঙ্গল আগাছায় ভরা নদীর চরে শয়ে শয়ে শিয়ালের আস্তানা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান শীতের দাপটে কাবু হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে হুক্কাহুয়ার দল। ইটাহারের কাপাসিয়া, হেমতাবাদের চৈনগর, বাহারাইল গ্রামে কার্যত দখল নিয়ে ফেলেছে শিয়ালেরা। প্রথমদিকে রাতে আক্রমণ চালাত। এবার দিনের আলোয় চলছে শিয়ালের হামলা। পথে-ঘাটে কাউকে একা পেলেই তাড়া করছে।