রায়গঞ্জ: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রায়গঞ্জের এক দম্পতি। রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লির বাসিন্দা পেশায় একটি জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী শ্রাবণী দে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন তাঁরা। ওডিশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলেন এই দম্পতি। শ্রাবণী দেবী বলেন, ‘শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস চেপে আমরা চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। A1 কোচে আমাদের সিট ছিল। এক যাত্রীর অনুরোধে কামড়ার মাঝামাঝি জায়গায় চলে আসি। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ চোখ বুজতেই একটা বিকট আওয়াজ। চোখ খুলতেই দেখি উপরের সিটের লোকজন নীচে পড়ছে। ছিটকে ছিটকে এদিক ওদিক পড়ছে। আমার মাথায় আঘাত লাগে।‘
ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনায় নিজেরা বেঁচে গেলেও সেই বীভৎসতা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তাঁরা। চোখের সামনে লাশের সারিতে বালেশ্বর যেন মৃত্যুপুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, ‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে বেঁচে ফিরতে পারব ভাবতে পারছি না। আমার মতো অনেকেই বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটার এক মিনিট আগেও বুঝতে পারিনি এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। তীব্র আতঙ্ক কাজ করছে আমাদের মধ্যে।‘ শ্রাবণীদেবী আরও বলেন, ‘এই সব দৃশ্য দেখে আমি বোবা হয়ে গিয়েছিলাম।আশেপাশের গ্রাম থেকে লোকজন ছুটে আমাদের উদ্ধারের জন্য।আমরা দুইজন উপরে আটকে ছিলাম।স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।
তাঁরা জানান, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ পাড়িয়ে রেসকিউ টিম আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে পৌঁছে দেয়।আমরা ছোটো গাড়ি করে বেলা ১টা নাগাদ ভূবনেশ্বরের হোটেলে পৌঁছোই। চোখ বন্ধ করলেই গতকালের রাতের বিভৎস দৃশ্য ভেসে আসছে বলে জানান শ্রাবণীদেবী।