দার্জিলিং: মঙ্গলবার দার্জিলিং আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল কংগ্রেস। এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন অধ্যাপক মুনিশ তামাং। দার্জিলিং আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন রাজু বিস্ট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন গোপাল লামা। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়বেন মুনিশ।
ভারতীয় গোর্খা পরিসংঘের নেতা মুনিশ তামাং দার্জিলিংয়ের ভূমিপুত্র। দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ড গঠনের স্বপক্ষে দেশজুড়ে জনমত সংগঠিত করার কাজে সক্রিয় ছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। উল্লেখ্য, মুনিশকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডই। অজয় নিজে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিলেও কংগ্রেসের পার্টি সদস্যপদ গ্রহণ করে দলে যোগ দেন মুনিশ তামাং। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল দার্জিলিং আসনে মুনিশ তামাংকে প্রার্থী করতে চলেছে কংগ্রেস। এদিন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের স্বাক্ষর করা ১৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেই তালিকায় একমাত্র দার্জিলিং আসনের প্রার্থীরই নাম রয়েছে।
দার্জিলিং আসন নিয়ে কংগ্রেসে কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। গত ২৬ নভেম্বর কংগ্রেসে যোগ দিয়ে এই আসনে প্রার্থীপদের বড় দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং। প্রার্থী ঘোষণায় দেরি হওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন বিনয়। তারপর মুনিশ তামাং কংগ্রেসে যোগ দেওয়াতে আরও ক্ষিপ্ত হন বিনয়। সরাসরি বিবৃতি প্রকাশ করে বিনয় জানিয়ে দেন, এই আসনে তিনি মুনিশ তামাংকে প্রার্থী হিসেবে মানতে পারবেন না। এমনটা হলে দল ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই গোর্খা নেতা। যদিও দল তাঁর আপত্তির কথা না শুনে মুনিশ তামাংকেই প্রার্থী করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিনয় আদৌ দলে থাকবেন কিনা, সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে বিনয় তামাং বলেছেন, ‘আমি ২৯ মার্চ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাতেই অনড় রয়েছি। আমি কোনও পরিস্থিতিতেই মুনিশ তামাংকে সমর্থন ও সাহায্য করব না। অজয় এডওয়ার্ড এবং মুনিশ তামাং ভুল নীতি অবলম্বন করে দার্জিলিং পাহাড় এবং বাংলার সমস্ত কংগ্রেস কর্মীকে অপমান করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’