অরিন্দম বাগ, মালদা: ১৬১ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। সোমবার সকালে বৃষ্টির পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ক্রাইম সিন থেকে ফরেন্সিক দলের (Forensic Team) হাতে কি সমস্ত তথ্য উঠে আসবে? এদিকে, জেলা পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। ঘটনার তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে সারা শহর।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করে খুনের ঘটনায় (Malda Murder Case) বিচারের দাবিতে এখনও রাস্তায় নামছে মালদাবাসী। কোথাও মৌন মিছিল, কোথাও বা মোমবাতি মিছিল। রবিবার পুলিশি তদন্ত নিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের ক্ষোভ প্রকাশের পর আরও চাপের মুখে জেলা পুলিশ প্রশাসন। দফায় দফায় ধৃতকে জেরা করছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদে খবর প্রকাশের পর ঘটনাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হলেও এখনও রক্তমাখা ঘাস কিংবা পড়ে থাকা চশমা ঢাকার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। পুলিশসূত্রে খবর, আগামীকাল মালদায় আসতে চলেছে ফরেন্সিক দল। তবে সোমবার সকালে বৃষ্টির পর ঘটনাস্থল থেকে কতটা প্রমাণ মিলতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জানান, ফরেন্সিকের সঙ্গে অ্যাজ আর্লি অ্যাজ পসিবল বাক্যটার সরাসরি যোগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে যতদিন গড়াবে তত প্রমাণ বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা রক্ত ধীরে ধীরে ডিকম্পোজ হবে। সময় গড়ানোর সঙ্গে ঘাসও বড় হতে থাকবে। তাতে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফুট প্রিন্ট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সঙ্গে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা মিলিয়ে দেখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এনিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। আমরা ফরেন্সিক তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।’