হেমতাবাদঃ আচমকা রান্নাঘরে ঢুকে ভাইয়ের স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল ভাসুরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামোর গ্ৰামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্তদেহটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠায় হেমতাবাদ থানায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সোনালী হেমব্রম (২৫)। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাহারাইল ফরেস্ট সংলগ্ন বামর গ্রামে। এদিন রাতে রান্নাঘরে রান্না করছিলেন সোনালী হেমব্রম। অভিযোগ, আচমকাই তাঁর ভাসুর লাদে মুর্মু রান্নাঘরে ঢুকে কুড়োল দিয়ে এলোপাথাড়ি ও কোপাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনালীর। বধুর চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা। ততক্ষণে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত ভাসুর লাদে মুর্মু।
এ প্রসঙ্গে মৃত গৃহবধূর স্বামী বাবলু মুর্মু বলেন, “সন্ধ্যাবেলায় হাট থেকে বাজার করে সেগুলোকে বাড়িতে রেখে বউকে রান্না করতে বলে পাড়ার চায়ের দোকানে গিয়েছিলাম। আচমকায় বাড়িতে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনতে পাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করলে হেমতাবাদ থানার পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে মৃতদেহ নিয়ে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার জা সোনিয়া তীর্কি বলেন,“গতকাল দিনভর কুড়ুল ধার দিচ্ছিলেন আমার ভাসুর। তাও বুঝতে পারিনি এই কুড়ুল দিয়েই বাড়ির এক সদস্যকে মরতে হবে। আমি সন্ধ্যার দিকে তরকারি কাটছিলাম। আচমকা দেখি আমার ভাসুর হাতে কুড়ুল দিয়ে সোনালীর ওপরে এলোপাথাড়ি কোপ মারছে”। মৃতবধূর ছয় বছরের ও চার বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের সামনেই এই ঘটনা ঘটায় তারাও রীতি মতন আতঙ্কে রয়েছে। হেমতাবাদ থানায় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযুক্ত লাদে মুর্মু পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।”