শিবশংকর সূত্রধর, কোচবিহার: রাজবংশী ভোটের আশায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, দু’পক্ষই গ্রেটার নেতাদের সঙ্গে রেখেছিলেন। কিন্তু কারও প্রচারেই নগেন রায় (Nagen Roy) বা বংশীবদন বর্মনের (Bangshi Badan Barman) মতো সেই নেতাদের দেখা যাচ্ছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। রবিবার থেকেই তৃণমূলের হয়ে প্রচার শুরু করবেন বলে অবশ্য বংশীবদন জানিয়েছেন। তবে স্টার ক্যাম্পেনার তথা রাজ্যসভার সাংসদ নগেন রায় বিজেপির প্রচার নিয়ে কিছু বলেননি। ফলে রাজবংশী ভোট নিয়ে কোচবিহারের (Coochbehar) রাজনীতিতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কোচবিহারের ভোটগুলিতে রাজবংশী ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর। এখানে প্রায় ৩২-৩৪ শতাংশ রাজবংশী ভোট রয়েছে। সেই ভোট যাদের ঝুলিতে থাকে তারাই সাধারণত ভোটে এগিয়ে থাকে। ফলে গ্রেটার নেতাদের কাছে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলির কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বর্তমানে রাজবংশীদের জিসিপিএ’র মূলত দুটি গোষ্ঠী শক্তিশালী। একটি নগেনের এবং অন্যটি বংশীবদনের গোষ্ঠী। নগেন বিজেপির হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। আবার বংশীবদন রাজ্যের রাজবংশী ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান। নগেন প্রথমদিকে বিজেপির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেও নিশীথ প্রামাণিক মনোনয়নপত্র পেশের সময় তাঁকে সঙ্গে রেখেছিলেন। নগেন যে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন তারই বার্তা দিয়েছিলেন তাঁরা। আবার রাজবংশী ভোট নিজেদের দখলে রয়েছে, এই বার্তা দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া মনোনয়নপত্র পেশের সময় বংশীবদন বর্মনকে পাশে রেখেছিলেন।
কিন্তু অবাক করা বিষয়, মনোনয়নপত্র পেশের পর নগেন বা বংশীবদন কাউকেই সেভাবে দলীয় প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। এবিষয়ে বংশীবদন বলেছেন, ‘আমরা রবিবার দিনহাটা-১ ব্লকে কর্মীসভার মাধ্যমে প্রচার করব। প্রথমেই ঘোষণা করেছিলাম আমরা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছি।’ জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেছেন, ‘বংশীবদনবাবুরা আমাদের হয়ে পৃথকভাবে প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছেন। সেখানে আমাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’ বিজেপির প্রচারে নগেনকে দেখা যাচ্ছে না কেন? এবিষয়ে নগেনকে ফোন করা হলে তিনি প্রশ্ন শোনার পর, ‘ব্যস্ত আছি’ বলে ফোন কেটে দেন। দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায়কে ফোন করা হলে তিনি দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত থাকার জন্য মন্তব্য করতে রাজি হননি।