উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটার, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫.৪ কিলোমিটার এবং জোকা-তারাতলা মেট্রোপথের মাঝেরহাট পর্যন্ত ১.২৫ কিলোমিটার সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শহরের মেট্রো ক্ষেত্রে প্রায় ১১.৪৫ কিলোমিটার পথের সংযুক্তি ঘটবে। দ্রুত ওই সব মেট্রোপথে যাত্রী পরিষেবা শুরু করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে চলে আসেন। মেট্রো প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানটি হয় মাটির প্রায় ২৮ মিটার নীচে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে। সেখান থেকেই পতাকা নেড়ে মেট্রোযাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি একঝাঁক পড়ুয়ার সঙ্গে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোরেলে সফর করেন।
মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তিনবার রাজ্যে পা রাখলেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মাটি থেকেই একের পর এক প্রকল্পের উদ্বোধন করেই চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার তিনি উদ্বোধন করলেন দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো রেলপথের। চারদশক আগে ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেলের সূচনা হয়েছিল কলকাতাতেই। বুধবার সেই মহানগরীতেই সূচনা হল দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো রেলপথের। ইতিহাস তৈরি হল গঙ্গাবক্ষে। এদিন কলকাতায় একসঙ্গে তিনটি মেট্রো করিডরের নয়া লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সবমিলিয়ে মহানগরী থেকে তিনি ১৫,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দে যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রকল্পের উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। ধর্মতলা থেকে ভার্চুয়ালি একাধিক প্রকল্পের সূচনা হয় এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই।
উল্লেখ্য, ৪.৮ কিলোমিটারের হাওড়া ময়দান এবং এসপ্ল্যানেডের অংশের ৫২০ মিটার লাইন গিয়েছে গঙ্গার তলা নিয়ে। আর সেই কারণে ইতিহাস তৈরি হয়েছে। নদীর উপরের জলস্তর থেকে ৩৩ মিটার নীচে তৈরি হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গ। নদী খাত থেকে আরও ১৩ মিটার গভীরে পলিমাটির ভিতর দিয়ে গিয়েছে টানেল। সেখানেই মেট্রোর লাইন পাতা হয়েছে। জোড়া সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। অর্থাৎ, মেট্রোযাত্রীদের মাথার উপর দিয়ে বয়ে যাবে গঙ্গা। জলস্তরের ৩৫ মিটার নীচ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল ফাইবার বসানো হচ্ছে। এই সুড়ঙ্গ পথে মেট্রোর যাত্রীরা ফাইভ জি গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও পাবেন।