শিলিগুড়ি: বৃষ্টি কমলেও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শ্বেতিঝোরায় রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও কবে এই পথে নতুন করে গাড়ির চাকা গড়াবে, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছেন না প্রশাসনিক কর্তারাও। ফলে আরও কয়েকদিন যে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের মধ্যে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এর ফলে পাহাড়ের পুজো পর্যটন নিয়েও আশঙ্কা দানা বাঁধছে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমণিয়াম টি বলেন, রাস্তার একটা অংশ সম্পূর্ণ ভাবে ধসে যাওয়ায় জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। তবে কবে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কাজের ক্ষেত্রে অন্তত দুই-তিনদিন লাগবে। এখন আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে রাস্তা সংস্কারের কাজ।
আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহার বক্তব্য, বিহারের ওপর অবস্থান করা ঘূর্ণাবর্তটি সরে গিয়েছে। ফলে চলতি মাসে ভারী বৃষ্টির আর কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সোমবারও পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে গাড়ি চলাচল করেছে ঘুরপথে। শিলিগুড়ি ও গ্যাংটকের মধ্যে যান চলাচল করেছে গরুবাথান-লাভা পথে। কিছু গাড়িকে তিস্তাবাজার-পেশক-কার্সিয়ং দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পেলিং-শিলিগুড়ি পথে গাড়িগুলি চলাচল করেছে দার্জিলিং-লেবং দিয়ে। যতদিন না জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন এসব রাস্তা দিয়েই দুই রাজ্যের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে গাড়ি ঘুরপথে চলায় বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ আর সিকিমগামী গাড়িতে সওয়ার হচ্ছেন না। যে কারণে অন্যদিন সবসময় ভিড় থাকলেও সোমবার কার্যত শুনসান ছিল শিলিগুড়ির এসএনটি। এখান থেকে সিকিমের বিভিন্ন রুটে প্রত্যেকদিন ১৯টি বাস ছাড়ে। কিন্তু এদিন ১০টি বাসের চাকাও গড়ায়নি বলে এসএনটি সূত্রে খবর।
যাত্রী তেমন না থাকায় সারাদিন কার্যত বসেই কাটিয়েছেন এসএনটির বাইরে থাকা ছোটোগাড়ির স্ট্যান্ডের চালকরা। এমনই একজন সুরজ ছেত্রী বলেন, কিছু করার নেই। কে আর বেশি টাকা দিয়ে সিকিমে যাবেন। দিনের পর দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলে তার প্রভাব পুজো পর্যটনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।